আজ, শনিবার সকাল থেকেই চার বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে থেকে জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। আর গণনা রাউন্ড যত এগোচ্ছে ততই পিছিয়ে পড়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। এই আবহে বিজেপি এখন ৪–০ হয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে উত্তর কলকাতা লোকসভা আসনটি বরাবরের মতোই জয়ী হন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের তাপস রায়কে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি বিজেপি। এমনকী প্রধানমন্ত্রী রোড শো গেলেও জয় অধরা থাকে। তারপরই বরাহনগর উপনির্বাচনে হারে বিজেপি। এবার হারল মানিকতলায়।
সদ্য লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ধরাশায়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। তার উপর চার উপনির্বাচনেও পরাজয়ের মুখ দেখতে হল বঙ্গ–বিজেপিকে। আর এটা অস্তিত্ব সংকট হয়ে দাঁড়াল। এবার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে পরাস্ত করে মানিকতলা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলেই রাখলেন সাধনপত্নী সুপ্তি পাণ্ডে। ৬০ হাজারের বেশি ব্যবধানে জয়ী হন সুপ্তি পাণ্ডে। মানিকতলায় ৬২ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে ওই কেন্দ্রের বিধায়ক হতে চলেছেন। একুশের বিধানসভাতেও কল্যাণ চৌবে হেরেছিলেন সাধন পাণ্ডের কাছে। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তাই বিধায়ক শূন্য হয় মানিকতলা। উপনির্বাচনে বিধায়ক পেল মানিকতলা। সাধনবাবুর স্ত্রীর কাছেও হারলেন কল্যাণ চৌবে।
চারটি বিধানসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। তাই বিজেপিকে শূন্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জিতে গিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। শনিবারের বারবেলায় বিজেপি প্রার্থী বিনয়কুমার বিশ্বাসকে হারিয়ে জয়ী হন মধুপর্ণা ঠাকুর। আর রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন মুকুটমণি অধিকারী। একটিতেও বিজেপি জিততে পারল না। গণনার দিনেও কল্যাণ চৌবের মুখে শোনা গেল কারচুপির অভিযোগ। এই বিষয়ে সুপ্তি পাণ্ডে বলেন, ‘যদি কেউ রিগিংয়ের অভিযোগ করেন, সেক্ষেত্রে একটা বুথের ফল আমরা ধরব না। তাতেও তৃণমূল কংগ্রেসই জয়ী।’
আরও পড়ুন: রানাঘাটে মানুষের নয়নের মণি সেই মুকুট, ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয় তৃণমূল কংগ্রেসের
তাছাড়া এই পরাজয় বিজেপির কাছে আরও বড় সেটব্যাক। এই বিষয়ে বিজেপির প্রার্থী কল্যাণে চৌবের আক্ষেপ, ‘খেলাটা তো শুরুই করতে দিল না। গোল দেব কী করে? ভোটই তো হল না। তাহলে জেতা, হারার কী আছে। সবটাই তো ছাপ্পা দিয়ে করে দিল।’ পাল্টা সুপ্তি পাণ্ডের খোঁচা, ‘মন থেকে বলছি, ভদ্রলোককে দেখে আমারও খারাপ লাগে। উনি বারে বারে ভোটে দাঁড়ান আর হেরে যান।’ তবে একধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘কল্যাণ চৌবে যত ভোটে হারবেন, ততগুলি রসগোল্লা ওঁর বাড়িতে পাঠাব। বাম জমানার থেকে ভাল আছেন বাংলার মানুষ। বিজেপির প্রতি তাঁদের আস্থা নেই। ভুলকে ভুল বলে স্বীকার করছে। তাই মানুষের আস্থা রয়েছে।’