রাজ্যে ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানাল ভারতীয় জনতা পার্টি। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে দলের এই দাবির কথা জানিয়েছেন মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। এই দাবি নিয়ে আগামীকাল বিজেপি নেতারা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘আদালত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪ – ৬ সপ্তাহ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে বলেছিল। কিন্তু নির্বাচন ৪ পুরনিগমের ভোটগ্রহণ ৩ সপ্তাহ পিছিয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি তার ভোটগণনা। ওদিকে শোনা যাচ্ছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বাকি ১০৮টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ। ৩ মার্চ ভোটগণনা হতে পারে। বিজেপির দাবি সেই নির্বাচন অন্তত ৪ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হোক।’
শমীকবাবুর দাবি, কলকাতায় করোনা সংক্রমণের গতি কমলেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় করোনা সংক্রমণ এখনো অব্যহত। করোনার প্রজাতি চিহ্নিত করার পরিকাঠামো নেই রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে মানুষ ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারবে না।
তবে শমীকবাবুর দাবির সঙ্গে গত কয়েকদিন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন মিলছে না। বুলেটিন অনুসারে শনিবার রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৫.৬৫ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে প্রবল হারে কমেছে সংক্রমণ। কলকাতাসহ সমস্ত জেলাতেই সংক্রমণের হার কমেছে। হাতে গোনা কয়েকটি জেলা বাদ দিলে বাকি জায়গায় দৈনিক সংক্রমণ ২০০-র নীচে। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও নেমেছে ৫০ হাজারের নীচে।
শমীকবাবু জানিয়েছেন, ১০৮ পুরসভার নির্বাচন পিছনোর দাবি জানাতে সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবে বিজেপির প্রতিনিধিদল।