
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
সমাজকল্যাণ ও উন্নয়নমূলক একাধিক খাতে আরও ৮৭০০ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন জানিয়েছেন, ২০২০–২১ অর্থবর্ষে উন্নয়নমূলক কাজে মোট ২০২১২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রকল্পের চাহিদা দেখে আগামী এক মাসের জন্য আরও ৮৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবীর কাছে ‘দুয়ারে সরকার’ নতুন মডেল বলে এদিন দাবি করেছেন মমতা। এদিকে, এদিনই মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি–র প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘দুয়ারে সরকার’ তার ব্যর্থতার জন্য সারা পৃথিবীর কাছে মডেল হয়ে উঠবে। শমীক এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, ‘তিনি যে সাধারণ মানুষকে শুধু নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বলে মনে করেন তা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় পরিষ্কার। তৃণমূলের কোনও মানবিক মুখ নেই। ওরা কেবল রাজনৈতিক সুবিধার জন্য কাজ করে।’
এদিকে, এদিন কর্মসূচির সাফল্যের একাধিক পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পে ৭ লক্ষ ১৪ হাজার আবেদন পাওয়া গিয়েছে আর তার মধ্যে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে এই সুবিধা পাচ্ছেন। ‘স্বাস্থ্যসাথী’র জন্য আবেদন করেছেন ৪২ লক্ষ পরিবার, তার মধ্যে ২৭ লক্ষ ১৩ হাজার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের কার্ড। ৪টি পর্যায়ে মোট ২০ হাজার শিবিরে চলা এই কর্মসূচি চলবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আর এই পরিসংখ্যান নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘হাসপাতালের নোটিশের সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের (স্বাস্থ্যসাথী) পরিসংখ্যানের কোনও মিল নেই। বাস্তবে এই দুটির মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে।’ একইসঙ্গে শমীক এদিন দাবি করে বলেন, ‘রাজ্যের ওপর ধারের বোঝা বাড়তে বাড়তে এখন ৪ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা এর পরের সরকারকে বয়ে বেড়াতে হবে।’
অন্যদিকে, এদিনই সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় অভিযোগ করেছেন, বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করতে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজ্যের কৃষকদের কেন্দ্রের দেওয়া বার্ষিক ৬ হাজার টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না— এই প্রশ্ন তুলে চিঠি দেওয়ার পরও রাজ্য সরকার কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত কিছুর পর কেন্দ্রের কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই চিঠি পড়ে আমি রীতিমতো চমকে উঠেছি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী তাতে কেন্দ্রের টাকা রাজ্য সরকারের হাতে দিতে বলেছেন। আমার প্রশ্ন, কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যদি সরাসরি টাকাটা যায় তাতে সমস্যা কোথায়?’
ঘটনাচক্রেই এদিন ফের আর একবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে জানিয়ে এদিন নবান্নে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন করার কাজটা করে রাজ্য সরকার। আমরা কৃষকদের হাতে তাঁদের প্রাপ্য টাকা তুলে দেব। বিজেপি কেন রাজনৈতিক সুবিধা পাবে?’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports