সোমবার বড় সিদ্ধান্তে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভায় নতুন দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে এই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক সেই প্রেক্ষাপটেই দায়িত্বভার পেলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। (আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় কঠিন পিচে রাজ্যের 'দুসরা', বকেয়া ভাতা কি তবে পাবেন না সরকারি কর্মীরা?)
আরও পড়ুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে সম্মানহানীকর মন্তব্য নয়, শুভেন্দুকে কড়া আদালতের নির্দেশ
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তাতে তিনি লেখেন, ‘দিদি আমার উপর ভরসা রেখেছেন। এই আস্থা ও দায়িত্ব আমার কাছে এক গর্বের বিষয়। আমি সম্মানিত।’ তিনি আরও জানান, এই দায়িত্ব শুধু পদ নয়, এটি একটি দায়িত্বপূর্ণ সংগ্রামের অংশ যেখানে লক্ষ্য একটাই, দেশের সংবিধানকে রক্ষা করা। অভিষেকের কথায়, ‘আমাদের লড়াই কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ন্যায়, স্বাধীনতা, সমতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের আদর্শ রক্ষা করব। সেটাই ভারতীয় সংবিধানের মূল ভিত্তি।’ (আরও পড়ুন: উঠল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, ভাঙা হল শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়ির কাচ)
দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্টভাবে লোকসভায় দলের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জানান, রাজ্যসভায় তৃণমূলের কাজকর্ম যতটা সংগঠিত, লোকসভায় তেমন দৃশ্যমান নয়। আর সেই কারণেই এই রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে সংসদের নিম্নকক্ষে দলের অবস্থান আরও জোরালো করা এবং বিরোধী রাজনৈতিক ভূমিকা আরও সুসংহতভাবে তুলে ধরাই এখন লক্ষ্য।এদিকে, অভিষেকের নতুন দায়িত্ব তৃণমূলের অভ্যন্তরে নতুন নেতৃত্বের পথ আরও সুসংহত করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান এবং বক্তব্য ভবিষ্যতে আরও স্পষ্ট ও ধারালো হবে বলেও মত বিশ্লেষকদের।