২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের পাশাপাশি বিক্ষোভ শুরু করলেন ২০১৭ টেট উত্তীর্ণরাও। বৃহস্পতিবার বিধাননগর ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে রাস্তার ওপর বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণদের দাবি, যোগ্যতার নিরিখে তারা এগিয়ে। তাই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
এদিন বেলা ১০টা নাগাদ করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনের নীচে বিক্ষোভে বসার চেষ্টা করেন ২০১৭-র আন্দোলনকারীরা। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এর পর তারা চলে যান সেক্টর ফাইভে। সেখান থেকে বেরিয়ে করুণাময়ীর দিকে এগোতে থাকেন তাঁরা। পথে পুলিশ ফের তাঁদের বাধা দেয়। এর পর ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের পাশে সার্ভিস লেনে বসে পড়েন কয়েক শ বিক্ষোভকারী। সেখানেই অবস্থান শুরু করেন তাঁরা।
২০১৭ টেট উত্তীর্ণদের দাবি, NCTE-র গাইডলাইন মেনে তারাই প্রথম টেট পাশ করেছেন। তাদের প্রত্যেকের প্রশিক্ষণ রয়েছে। তার পরেও তাদের নিয়োগ দিচ্ছে না সরকার। ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে তাদের কোনও বিবাদ নেই। কিন্তু তাদের নিয়োগ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দিতে হবে।
মোটর ট্রেনিং স্কুলের আড়ালে চলত জালিয়াতি চক্র, উল্টোডাঙায় ED হানায় মিলল নয়া তথ্য
২০১৭-র এক আন্দোলনকারী বলেন, ২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা ২ বার নিয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ২০১৭ টেট উত্তীর্ণরা তা পাননি। আর ২০১৭-র পর তৈরি শূন্যপদে ২০১৪র টেট উত্তীর্ণদের কোনও অধিকার নেই। ২০১৭-র টেটে মাত্র ৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছিল। তাদের মধ্যেও ৯০০০ এখনো নিয়োগ পাননি। তাদের আগে নিয়োগ দেওয়া হোক। তার পর বাকি শূন্যপদে নিয়োগ পাক ২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা।