আজ, সোমবার দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দিঘার জগন্নাথধামের উদ্বোধনের কাউন্ট ডাউন চলছে। এক কোটি মন্ত্রোচ্চারণে জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। তারপর হবে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ দিঘায় পৌঁছে সব কাজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। এখন মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা। সৈকতনগরীতে জগন্নাথধামের উদ্বোধন নিয়ে ভক্ত, পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ উন্মাদনায় মেতে উঠেছে। আজ হেলিকপ্টারে করে দিঘায় এসে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখেই আপামর জনগণ ‘দিদি দিদি’ বলে চিৎকার জুড়ে দেন। চারিদিকে এই সাজ সাজ রবের মধ্যেই বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রভু জগন্নাথদেবকে স্বাগত জানাতে পুণ্য ক্ষেত্রে জোরকদমে চলছে হোমযজ্ঞ। তার সঙ্গে কাঁসরঘণ্টা, উলুধ্বনিতে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে মন্দিরচত্বর। উদ্বোধনের প্রাক্কালে পুরীর রাজেশ দ্বৈতাপতি এবং ইসকন প্রতিনিধি রাধারমন দাস পুজো পার্বণ ও হোমযজ্ঞ চালাচ্ছেন শাস্ত্রীয় আচার মেনেই। এবার সেখানে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে এখন রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু এবং স্থানীয় নেতা সুপ্রকাশ গিরি। এখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিঘায় মন্দিরের কাজ খুব ভাল হয়েছে। এখানে আগে প্রাণপ্রতিষ্ঠার কাজ হবে। তারপর উদ্বোধন হবে। এখানে জগন্নাথ মন্দির গড়ে ওঠার ফলে নবীন প্রজন্ম, প্রবীণ মানুষজন সকলের ক্ষেত্রেই একটা আধ্যত্মিকতার জায়গা তৈরি হল।’
আরও পড়ুন: চা–বাগানের জলাশয়ে পড়ে হাবুডুবু চিতাবাঘের, উদ্ধার করতে কালঘাম বনকর্মীদের
মন্দিরের সামনে গড়ে ওঠা খড় এবং হোগলার আচ্ছাদনের নিচে চলছে মহামন্ত্র যজ্ঞ। নরসিংহ মন্ত্রে মুখরিত মন্দির প্রাঙ্গণ। মন্দিরের ভিতরে এবং বাইরে চলেছে নানা দেবদেবীর আরাধনা। আর আম, বেলকাঠ–সহ নানা জিনিস দিয়ে সকাল ও সন্ধ্যা দুই বেলা চলেছে বিশ্ব শান্তিযজ্ঞ। আজ, সোমবার এখানে অশ্বযজ্ঞ হবে। তার আগে এখানে এসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দিঘায় সমুদ্র ছিল। সেখানে একটা জগন্নাথ মন্দির হলে তা সব পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র হবে। এই ভাবনা থেকেই এখানে জগন্নাথ মন্দির গড়ে উঠেছে। আগামীদিনে এই দিঘার জগন্নাথ মন্দির আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠবে।’