আজ সোমবার বর্ধমানে আসেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি পতাকা পোড়ানোর বিরুদ্ধেই নিজের মতপ্রকাশ করলেন। যা সরাসরি বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর কাজের বিরোধী। কদিন আগেই বিধানসভার গেটের বাইরে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিকেলে শহরের জোড়া মন্দিরের কাছে পাঞ্জাবি পাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনে অনুষ্ঠিত একটি চা চক্রে যোগ দেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
এদিকে বিরোধী দলনেতার ওই কাজ তিনি সমর্থন করেন না। নাম না করেই সেই কথা বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানে ‘চায়ে পে চর্চা’য় পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি কোনও দেশের পতাকা পোড়ানো উচিত নয়।’ আর রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বললেন, ‘যাদের স্কুলে গিয়ে ক্লাস নেওয়ার কথা, তাদের আজ রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় যাচ্ছে সেটা এখন সবাই বুঝতে পেরেছেন।’
আরও পড়ুন: নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী, ঘুরে দেখলেন তিন দীপস্তম্ভ চার দ্বারও
অন্যদিকে ‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দিতেই দিলীপকে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর উঠে আসে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা। পাকিস্তানের জঙ্গিদের এমন বর্বরোচিত হামলা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘কোনও দেশের পতাকা পোড়ানো উচিত নয়। আমি এটা আমি মোটেই পছন্দ করি না। যদি কোনও দেশের সরকার অশান্তি করে বা কিছু লোক গোলমাল পাকান, তার জন্য কেন্দ্র রয়েছে।’ আর দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নিয়ে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রীকে। দিলীপের কটাক্ষ, ‘হিন্দুরা নিজের জেলা ছেড়ে অন্য জেলায় চলে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে না পারলেও, জগন্নাথ মন্দির তৈরি করে ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু পাপ ক্ষয় হবে না, পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।’
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়করা পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রতিবাদ দেখিয়েছিল। ওই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন বিরোধী দলনেতাকে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার হুঙ্কার দিতেও শোনা যায়। শুভেন্দু তখন বলেন, ‘২৬–এর বদলে ২৬০টা মুন্ডু চাই! গাজার মতো পাকিস্তানকে ধূলিসাৎ করতে হবে।’ আর দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘ভারত সরকার ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। জঙ্গিদের বাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনারা। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছে ভারত। পাকিস্তানকে জব্দ করতে ভারত আগেই জল বন্ধ করে দিয়েছে। দুনিয়ার সমস্ত দেশ নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন জানাচ্ছে।’