এর আগেও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজভবন এবং বিধানসভার মধ্যে সংঘাত দেখা গিয়েছিল। কিন্তু কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত বিধায়ক আলিফা আহমেদের ক্ষেত্রে সেই টানাপড়েন দেখা গেল না। কোনওরকমের জটিলতা ছাড়াই শেষমেশ শপথগ্রহণের দিনক্ষণ ঠিক হল আলিফা আহমেদের। রাজভবনের তরফে অনুমতি মিলতেই সোমবার নির্ধারিত হল শপথের দিন। জানা যাচ্ছে, আগামী বুধবার বিধানসভায় তাঁকে শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। (আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আজ নবগ্রাম থানায় তলব কার্তিক মহারাজকে, হাজিরা কি দেবেন?)
আরও পড়ুন: কেন আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করল তৃণমূল? বায়োডাটায় লুকিয়ে আছে আসল রহস্য
এর আগে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বরাহনগর থেকে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকার ভগবানগোলা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ী হলেও তাঁদের শপথ নিয়ে রাজভবন এবং বিধানসভার মধ্যে দীর্ঘ এক মাস ধরে সংঘাত দেখা দিয়েছিল। সেই তুলনায় আলিফার শপথ একেবারে নির্বিঘ্নে হতে চলেছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, আলিফার সহজ শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া দলের কাছে স্বস্তির। পাশাপাশি বিধানসভার তরফেও দ্রুত শপথ কার্য সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শপথগ্রহণের মাধ্যমে কালীগঞ্জে ফের পূর্ণাঙ্গ সাংবিধানিক প্রতিনিধিত্ব ফিরে আসছে। (আরও পড়ু: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তে নয়া মোড়, আরও ৪ জনের ওপর নজর পুলিশের)
২০২১ সালে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ ওরফে লাল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর প্রয়াণের পরেই কেন্দ্রটি শূন্য হয়ে যায়। সেই শূন্য আসনে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রয়াত বিধায়কের কন্যা আলিফাকে প্রার্থী করে। গত ১৯ জুন অনুষ্ঠিত হয় উপনির্বাচন। বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীদের হারিয়ে জয়ী হন আলিফা আহমেদ। তিনি ৫০,০৪৯ ভোটে পরাজিত করেন বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষকে। ২৩ জুন ফলাফল প্রকাশ হলেও তখনও শপথের দিন স্থির হয়নি। ঠিক ওই তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া নিহত হয় মোলান্দির বাসিন্দা ১০ বছরের তামান্না খাতুনের। তাই নিয়ে এখনও উত্তপ্ত রয়েছে রাজনীতি।