পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম-২ ব্লকের এড়াল পঞ্চায়েতে ফের প্রকাশ্যে এল শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এক পঞ্চায়েত সদস্যকে হুমকি ও প্রকাশ্যে অপমানের অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছেন পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্য সদস্যরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে গোটা বোর্ড থেকেই গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে হামলা, বোমা–গুলির ঘটনায় তদন্ত
এড়াল পঞ্চায়েতের প্রধান পানো মাড্ডি মঙ্গলবার আউশগ্রাম-২ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। চিঠিতে জানিয়েছেন, তাঁদের এক সহকর্মী পঞ্চায়েত সদস্যের উপর প্রকাশ্যে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। অথচ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। পানো মাড্ডির সাফ কথা, সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না হলে তাঁরা গণ ইস্তফা দেবেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২৫ জুলাই। অভিযোগ, ওইদিন পঞ্চায়েত সদস্য অরবিন্দ ঘোষ একটি বৈঠকে যোগ দিতে গেলে, তাঁকে বাধা দেন তৃণমূলের এড়াল অঞ্চল সভাপতি রঞ্জিত মণ্ডল। শুধু তাই নয়, বৈঠক থেকে তাঁকে জোর করে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই অরবিন্দ আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রঞ্জিত মণ্ডলসহ আরও দুই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। অরবিন্দ ঘোষ বলেন, তিনি বৈঠকে গিয়ে বসতেই রঞ্জিতবাবু তাঁকে বলেন এখানে বসার তাঁর অধিকার নেই। এরপর জোর করে তাঁকে টেনে নিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। কিন্তু এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েতের অভ্যন্তরেও তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, বিরোধীশূন্য এই পঞ্চায়েতে সবকটি ১৭টি আসনেই তৃণমূল সদস্য। কিন্তু দলীয় গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এখন নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি রঞ্জিত মণ্ডল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এসব মিথ্যে কথা। তিনি কাউকে হুমকি দেননি। এটা একটা চক্রান্ত।