রাজ্যে ফের আক্রান্ত পুলিশ। ঝাড়গ্রামে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের উপর হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মঙ্গলবার গভীর রাতে শ্রাবণী মেলার কাছে দায়িত্ব শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন ঝাড়গ্রাম থানার সাব-ইনস্পেক্টর শুভেন্দুশেখর বেরা। সেখানে মেলার এক মহিলা বিক্রেতাকে কয়েকজন মদ্যপ যুবক হেনস্থা করতে দেখেন তিনি। তার প্রতিবাদ করতেই সাব ইন্সপেক্টরের ওপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। সেই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্ট্র্যান্ড রোডে পুলিশের উপর হামলায় ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক, ২০ বছর ধরে ভারতে বাস
জানা যায়, মহিলাকে হেনস্তা করতে দেখে শুভেন্দু ওই স্টলের সামনে বাইক থামিয়ে অভিযুক্তদের বাধা দেন। প্রথমে বাকবিতণ্ডা, তারপর শুরু হয় শারীরিক হামলা। অভিযোগ, তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। মেলায় উপস্থিত কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়াররা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় প্রথমে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হলেও পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি দেবনাথ দে। তাঁর বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য সহযোগী বিশ্বজিৎ কর ও সুপ্রিয় রায় ওরফে বুটুন সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। রাতেই দেবনাথ দে-কে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ঝাড়গ্রাম আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ায়, টিএমসিপি রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, দেশের সেবা করেন যারা, তাঁদের ওপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না। দেবনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে, নির্দোষ হলে পদে ফেরানো হবে। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো কটাক্ষ করে বলেন, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি, পুলিশও রেহাই পায় না। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারের হলেও বাকিদের ধরতে তল্লাশি চলছে।