সম্প্রতি একাধিক কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের দাদাগিরি প্রকাশ্যে এসেছে। এই আবহে এবার তুফানগঞ্জ কলেজে গুরুতর অভিযোগ উঠল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কলেজে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য কলেজ ফান্ড থেকে ২০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়াতেই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে ঘন্টাখানেক অচল করে দেওয়া হয় গোটা কলেজ। সূত্রের খবর, যাঁরা এই কাজ করেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: কলেজের ভিতরেই গণধর্ষণের অভিযোগ TMCP নেতার বিরুদ্ধে,অভিযোগপত্রে কী লিখলেন ছাত্রী?
জানা যায়, বিদ্যুৎ না থাকায় সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায় কলেজের প্রশাসনিক কাজকর্ম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেশ পৌঁছাতে হয় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশকে। এই ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, এটা প্রথম নয়। এর আগেও ওই ছেলেরা কলেজের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙেছে। পরীক্ষার সময় প্রকাশ্য দিবালোকে একজন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রকে মারধর করেছে। এবার সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে কার্যত সন্ত্রাস চালাল। বিষয়টির যথাযথ প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করা হবে।
কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। কারা এর সঙ্গে যুক্ত, তা নিয়ে আলোচনা হবে। পরবর্তীতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঘটনার নিন্দায় মুখর বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্জি বলেন, শিক্ষকদের হেনস্তা, কলেজ ক্যাম্পাসে দাদাগিরি। এসব এখন রোজকার চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হওয়া উচিত। তবেই এই ধরনের অপশক্তিকে ঠেকানো যাবে।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রাজ্য সম্পাদক দীপ্ত দে জানান, প্রিন্সিপালের কাছে দাবি জানানো হবে যাঁরা জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করা হোক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করার প্রবণতা বরদাস্ত করা হবে না। যদিও, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শহর সভাপতি শুভম সরকার দাবি করেছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নেবেন। কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয়, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তুফানগঞ্জ কলেজের অন্দরের এই ঘটনা ফের একবার সামনে আনল ছাত্র রাজনীতির নামে বেআইনি কাজের ছবি।