কসবা ল’ কলেজের ভিতরে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে TMCP নেতার বিরুদ্ধে। গত বুধবারের সেই ঘটনায় অভিযুক্ত TMCP নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তারই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে নির্যাতিতার অভিযোগপত্র। দীর্ঘ সেই অভিযোগপত্রে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগপত্রে নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, গত বুধবার দুপুর ১২টা ০৫ মিনিট নাগাদ তিনি কলেজে ঢোকেন। কলেজে কিছু কাজ মিটিয়ে ইউনিয়ন রুমে বসে ছিলেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। তখন তাঁকে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন কয়েকজন। এর মধ্যে ইউনিয়ন রুমে পৌঁছন কসবা ল’ কলেজের TMCP ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মনোজিৎ মিশ্র। ইউনিয়ন রুমের ভিতরেই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মনোজিৎ ওরফে ম্যাঙ্গো। এমনকী তাঁর প্রস্তাবে রাজি হলে ছাত্রীকে ওই কলেজের TMCP ইউনিটের সভানেত্রী করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু মনোজিতের প্রস্তাব খারিজ করেন তরুণী। তখন ছাত্রীকে মনোজিত বলেন, তাঁকে বিয়ে না করলে ছাত্রীর প্রেমিক এমনকী বাবা মাকেও খুন করে ফেলবে সে। অভিযোগ এই কথা শোনার পর ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে ইউনিয়ন রুম থেকে টেনে হিঁচড়ে পাশের একটি শৌগালয়ে নিয়ে যায় মনোজিত ও তাঁর ২ সঙ্গী। সেখানে ছাত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন ছাত্রী। অভিযোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে তাঁকে একটি ইনহেলার এনে দেয় মনোজিতের সঙ্গীরা। ছাত্রী দাবি করেছেন, কলেজ থেকে পালাতে গিয়ে তিনি দেখেন কলেজের মেন গেট বন্ধ। এর পর তাঁকে সেখান থেকে মারতে মারতে তুলে নিয়ে আসে মনোজিত। নিয়ে যায় কলেজের নৈশরক্ষীর ঘরে। সেখানে গিয়ে নৈশরক্ষীকে মারধর করে ঘর থেকে বার করে দেয় মনোজিত। অভিযোগ, ওই ঘরেই ছাত্রীকে অন্য ২ ছাত্রের সামনে ধর্ষণ করে মনোজিত ওরফে ম্যাঙ্গো।
ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁকে হকিস্টিক দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এমনকী তাঁর আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে রেখেছে অভিযুক্ত মনোজিত। ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে আনলে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সে।