কসবা ল’ কলেজের ভিতরে ছাত্রীকে গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই তাঁর বাবা। শুক্রবার ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর এমনই দাবি করেছেন অভিযুক্তের বাবা। তবে তাঁর দাবি, কলেজের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির শিকার হয়ে থাকতে পারেন তাঁর ছেলে।
এদিন মনোজিৎতের বাবার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দুকামরার ছোট্ট একটা বসত। অনাড়ম্বর সংসারে স্বচ্ছলতার তেমন চিহ্ন নেই। সেখানেই একটি ঘরে চৌকির ওপর বসে আছেন অভিযুক্তের বাবা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই প্রায় ৫ বছর। মাঝে সাঝে ও আসে। তবে ঘরে ঢোকে না। চৌকাঠে দাঁড়িয়ে কুশল জেনে চলে যায়। ওকে কষ্ট করে পড়াশুনো করিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছি। এখন ওর বিরুদ্ধে এমন অভিযুক্ত উঠছে বলে খারাপ লাগছে।
তিনি বলেন, মাঝে মাঝে অনেকে ওর খোঁজ করতে এখানে আসে। কখনও চিঠি পত্তর আসে। এর বেশি ওর সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তিনি জানান, ছোট থেকে তৃণমূলের প্রতি আকৃষ্ট মনোজিৎ। কলেজে পড়ার সময় সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মনোজিতের বাবা বলেন, ছেলের নেতা হতে ভালো লাগত। সবাই দাদা দাদা করবে। ফুল, উত্তরীয় দেবে। এটা ও খুব উপভোগ করত। তিনি বলেন, ওই কলেজে ভয়ানক রাজনীতি হয়। বিশেষ করে জিবি মিটিংয়ের সময়। তখন এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে FIR করে আসে। ছেলেকে তেমন ভাবে ফাঁসানো হয়ে থাকতে পারে।