আমদাবাদে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের তদন্তে রাষ্ট্রসংঘের একজন তদন্তকারীকে যোগদানের অনুমতি দেবে না ভারত। রয়টার্সকে এই কথা জানিয়েছেন ঘটনার বিষয়ে অবগত দুই শীর্ষস্থানীয় সূত্র। এর আগে রাষ্ট্রসংঘের এভিয়েশন এজেন্সি 'অস্বাভাবিকভাবে' সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের একজন তদন্তকারী ভারতেই ছিলেন। রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা দাবি জানায়, তাঁকে যেন পর্যবেক্ষক হিসেবে তদন্তের সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেওয়া হয়। তবে সেই দাবি খারিজ করে দেয় ভারত সরকার। (আরও পড়ুন: রাজ্যে কারখানা স্থাপন করছে সুইস সংস্থা, বিনিয়োগ করা হল কয়েক কোটি টাকা)
আরও পড়ুন: ট্রেনের ভাড়া ছাড়াও ১ জুলাই থেকে আসবে আরও ৫ বদল, চাপ পড়বে পকেটে
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধার করা ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য সফলভাবে ডাউনলোড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকার জানিয়েছে, সেই তথ্য এখন বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করেই জানা যাবে, কেন তেমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে রয়েছে - একটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার, একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। প্রায় ১০০০ সেলসিয়াস তাপে এই দু'টি রেকর্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এতে ব্যবহারযোগ্য ডেটা পুনরুদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এই আবহে রিপোর্টে দাবি করা হয়, ফরেনসিক তথ্য উদ্ধারের জন্য এই এফডিআর এবং সিভিআর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হতে পারে। (আরও পড়ুন: ভারতকে এস৪০০-এর বাকি দুই স্কোয়াড্রন কবে দেবে রাশিয়া? এল বড় আপডেট)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-পাককে নিয়ে বৈঠক করা চিনকে তাদের দেশে গিয়েই 'দায়িত্ব' মনে করালেন রাজনাথ
এর আগে গুজরাটের আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা মনে করছেন যে বোয়িং ড্রিমলাইনারটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এর জরুরি জেনারেটর চালু ছিল। তদন্তের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এমনটা জানিয়েছিল তাদের রিপোর্টে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তদন্তের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, আমদাবাদে দুর্ঘটনার সময় ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের জরুরি ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল। এটি ব়্যাম এয়ার টারবাইন নামে পরিচিত। ড্রিমলাইনারের ম্যানুয়াল উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, উভয় ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে বা তিনটি হাইড্রোলিক সিস্টেমের চাপ কম থাকলে বিমানের জরুরি ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হতে পারে। (আরও পড়ুন: কাটল জট, জায়গা দিল রাজ্য, দক্ষিণ কলকাতায় তৈরি হবে নয়া মেট্রো স্টেশন)
আরও পড়ুন: কট্টরপন্থীদের মন পেতে ঢাকায় মন্দির ভাঙল ইউনুসের সরকার, কী বলছে ভারত?
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অ্যারোস্পেস নিরাপত্তা পরামর্শক অ্যান্থনি ব্রিকহাউস ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছিলেন, পাইলটরা প্রয়োজনে ম্যানুয়ালি জরুরি ব্যবস্থা চালু করতে পারেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ হওয়ার আগে বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানটি আকাশে ৬২৫ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল। ২০১১ সালে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার প্রথম বাজারে আসার পর এই বিমানের এটাই প্রথম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এই বিমানটি বিমানবন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিজে মেডিক্যাল কলেজের একটি হোস্টেলে গিয়ে ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে ১২ জন কেবিন ক্রুসহ মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে বিশ্বাস কুমার রমেশ নামে একজন যাত্রী বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান। বাকি সবাই মারা যান। বিমানটি মেডিকেল ছাত্রের হোস্টেলে বিধ্বস্ত হলে মাটিতে থাকা আরও অনেকে নিহত হন।