রাতের অন্ধকারে এক কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে নৃশংসভাবে খুন করল এক যুবক। অভিযোগ, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এই হামলা চালায় ওই যুবক। আর শুক্রবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের তারাপীঠ থানার বাতিনা গ্রামে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মামির সঙ্গে প্রেম যুবকের, সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার, ভিডিয়ো কলে আত্মঘাতী যুগল
কিশোরী খুন এবং যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত কিশোরী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, তারাপীঠ থানার খামেড্ডা গ্রামের বিক্রম মাল নামে এক যুবকের সঙ্গে কিশোরীর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। তবে কিশোরীর পরিবার দাবি করছে, বিক্রম বেশ কিছুদিন ধরেই রাস্তাঘাটে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতেন বিক্রম। এমনকি সম্প্রতি সুপার ইমপোজ ছবি বানিয়ে কিশোরীকে ব্ল্যাকমেলও শুরু করেন যুবক। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। এই পরিস্থিতিতে কিশোরীর বিয়ে ঠিক হচ্ছিল অন্যত্র। সেই খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিক্রম। অভিযোগ, তখনই কিশোরীকে খুনের ছক কষেন।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতে যখন কিশোরীর বাবা-মা বাড়ির বাইরে ছিলেন, সেই ফাঁকে রাত ১০টা নাগাদ ঘরে ঢুকে পড়েন বিক্রম। তারপর ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকেন মেয়েটিকে। তার চিৎকার শুনে বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় তারাপীঠ থানার পুলিশ। তখন পর্যন্ত পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত বিক্রম। তাকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। পরদিন শুক্রবার সকালে সাহাপুর এলাকার এক ইটভাটার পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বিক্রমের দেহ। দু’জনেরই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্পর্ক ঘিরে জটিলতার জেরেই কিশোরীকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন বিক্রম। তবে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই তারা নিশ্চিত করে কিছু বলবেন। বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।