বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে বিজেপি। অপপ্রচার চালিয়ে তারা উসকানি দিচ্ছে ঘৃণার। প্ররোচনামূলক বক্তব্য দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভেদ ছড়ানো হচ্ছে। তার ফলে মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর বলা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের মদতে হিন্দুদের উপর হামলা চালাচ্ছে মুসলমানরা। অথচ হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে বিজেপি ক্যাডাররাই। তারাই ঘরছাড়া, এলাকাছাড়া করছে সাধারণ মানুষকে। এবার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এমনই দাবি করলেন রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে।
এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পর রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। কারণ মুর্শিদাবাদ জেলার এক বধূ সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই দাবি করেছেন। সেই ভিডিয়ো নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। যদিও ওই ভিডিয়ো যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। ওই ভিডিয়ো সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার এক বধূকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমাদের মুসলিমরা তাড়ায়নি। বিজেপি সব লুটপাট করে তাড়িয়ে দিয়েছে।’ এই বক্তব্যের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর তার জেরেই এখন শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
বিজেপির দিকে আঙুল তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি এই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। আক্রান্তদের বক্তব্য তুলে ধরে সাকেত দেখিয়ে দিয়েছেন, আসল ঘটনা ঠিক কী! ওই ভিডিয়োয় সংবাদমাধ্যমের সামনে এক গৃহবধূ বলছেন, ‘আমাদের কোনও মুসলিম লোক তাড়ায়নি। বিজেপির লোকজন তাড়িয়েছে। আমাদের সব লুটপাট করে নিয়েছে।’ ওই বধূ সামশেরগঞ্জ থানার নিমতিতা পঞ্চায়েতের আলিনস্করপুর গ্রামের বাসিন্দা। এখন তিনি ৫ কিমি দূরে আমুয়া কদমতলা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শালবনিতে জিন্দাল পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাসের প্রস্তুতি তুঙ্গে, আসছেন মুখ্যমন্ত্রী!
এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাংসদ সাকেত গোখলের বক্তব্য, ‘আসলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের শোচনীয় পরিণতি আঁচ করে গভীর আতঙ্কে ভুগছে বিজেপি। নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের লড়াইতে তাঁরা যে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারবে না, এই ব্যাপারে তারা নিশ্চিত। তাই গভীর হতাশা থেকেই পরিকল্পনামাফিক বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে হিংসায় মদত জোগাচ্ছে। হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে বিজেপি ক্যাডাররাই।’ আর মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের বাসিন্দা মৌলানা আমিরুল ইসলাম নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দিয়েছিলেন। আমিরুল ইসলামের কথায়, ‘এটা বদনাম করার জন্যই এমন করা হয়েছে। বাইরে থেকে লোক এসে ঘটনা ঘটিয়েছে। হিন্দুদের বাড়ি আমরা আগলে রেখেছিলাম। স্থানীয় গ্রামবাসীরা এরকম কোনওদিনই করবে না। এসব মুসলিমরাও করেনি।’