আগামী ১০ জুলাই চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে হাতে আর তিন দিন বাকি। তারপরই জোরদার লড়াই হবে। এবার লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধাজনক জায়গায় আছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এখানে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রটি হেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানের বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুরের সমর্থনে প্রচার করছেন দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা। গতকাল শুক্রবার বাগদাতে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ব্যারাকপুরে আসেন নবনির্বাচিত সাংসদ পার্থ ভৌমিক। আর এখান থেকেই কড়া বার্তা দেন সাংসদ পার্থ।
এই বার্তা একদিকে যেমন আমজনতার জন্য তেমন অপরদিকে দলীয় কর্মীদের জন্যও বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এখানে সাংসদ পার্থ বলেন, ‘যে সমস্ত ছেলেরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে তাঁদের ফোন নম্বর লিখে রাখুন। কেউ যদি তৃণমূল কংগ্রেস বা বিডিও অফিসের নাম করে কাজ করার বিনিময়ে টাকা চায় সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে কথাটা জানাবেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে তাদের জেলে ঢোকাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না। কেউ দুর্নীতি করলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন।’
আরও পড়ুন: কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, প্রতিবাদে আজ পদযাত্রা
এমন কড়া বার্তা দেওয়ার পরই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক দায়িত্ব নিয়ে সেচ দফতরও সামলেছেন। এখন তিনি সাংসদ। এখানে এসে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে সুর সপ্তমে তুলেছেন হন পার্থ ভৌমিক। তাঁর বক্তব্য, ‘এই কেন্দ্রীয় সরকার বহু মানুষের আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে। আমরা বারবার বলছি ১১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের বাড়ির টাকা দিয়ে দিতে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর দল এখানে আসে এবং পুরো তদন্ত করে। তারাও স্বীকার করেছিল এই সংখ্যক মানুষ বাড়ি পাবে। তবে তারপরও নরেন্দ্র মোদী টাকা দিলেন না। এই ১১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের বাড়ির টাকা যদি নরেন্দ্র মোদী না দেন সেক্ষেত্রে ডিসেম্বর মাস থেকে দিদি প্রথম কিস্তিতে টাকা দেওয়া শুরু করবেন।’