সুস্থ থাকার জন্য একটি মানুষের যা যা প্রয়োজন, তার মধ্যে সুর একটি বিশেষ উপাদান। সুরের ছোঁয়া আছে বলেই কখনও কখনও বেঁচে থাকা এত সুন্দর। তাই এবার বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের বিশেষ উদযাপন হল সল্টলেকের মণিপাল হাসপাতালে। বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রবীণ নিউরোলজিস্ট চিকিৎসক অংশু সেন।
মিউজিক থেরাপির গুরুত্ব
গানের মধ্যেও রয়েছে এক রোগীকে সুস্থ করে তোলার শক্তি। বিশেষ করে যারা মানসিক ও স্নায়বিক সমস্যায় আক্রান্ত। গানের সেই থেরাপিউটিক ক্ষমতাকে মনে রেখেই এই হাসপাতালে খুব শিগগির শুরু হবে স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য মিউজিক থেরাপি।
আরও পড়ুন -তীব্র আসক্তি তৈরি করে, এই ধরনের রিলগুলি এড়িয়ে চলুন যতটা পারা যায়, নইলে বিপদ
উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রাণী সেন
কীভাবে ছন্দ ও সুর চিকিৎসায় সাহায্য করে, এদিন এই নিয়েও আলোচনা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রাণী সেন এবং সঙ্গীতজ্ঞ শমীক পাল। চিকিৎসায় মিউজিক থেরাপি নিয়ে তারা বক্তব্য রাখেন এই দিন।
কী বললেন ইন্দ্রাণী সেন?
এদিনের অনুষ্ঠানে ইন্দ্রাণী সেন বলেন, ‘সঙ্গীতের মধ্যে অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে আমাদের এমন সব স্থানে পৌঁছানোর যেখানে শব্দ পৌঁছাতে পারে না। যারা উদ্বেগ, বিষণ্নতা বা দীর্ঘমেয়াদী স্নায়বিক সমস্যাগুলির সাথে লড়াই করছেন, তাদের জন্য মিউজিক থেরাপি একটি আলোকবর্তিকা হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে, ভারতে ৫৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বিষণ্নতার সাথে লড়াই করছে। মণিপাল হাসপাতাল সল্টলেকের এই উদ্যোগটি মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার দিকে একটি সময়োপযোগী এবং সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন - রুটি খেতে পছন্দ করে না খুদে? এভাবে বানালে দুটোর বদলে চারটে খেতে চাইবে
কী বললেন শমীক পাল?
অন্যদিকে সঙ্গীতজ্ঞ শামিক পাল বলেন, ‘সঙ্গীত দীর্ঘকাল ধরে মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক নিরাময়ের একটি মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত। নিউরোলজিক্যাল কেয়ারের অংশ হিসাবে সঙ্গীত থেরাপি চালু করার এই উদ্যোগটি একটি প্রশংসনীয় এবং দূরদর্শী পদক্ষেপ’