ভারতের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি বললেই যে নামগুলো একদম প্রথম সারিতে থাকবে, তার মধ্যে অন্যতম হল আর ডি বর্মন। শচীন দেব বর্মনের সুযোগ্য পুত্র রাহুল দেব বর্মন একের পর এক হিট গান তৈরি করেছেন বিংশ শতাব্দীতে। হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি বাংলা সিনেমার বহু গান ভারতবাসীর মন জয় করেছে। আজকের দিনেই রাহুল দেব বর্মনের জন্ম কলকাতায়। কলকাতার শিল্পীদের মধ্যে দুজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন আর ডি বর্মন। তাদের একজন প্রবাদপ্রতিম গায়ক কিশোর কুমার। অন্যজন তাঁর সুযোগ্য পুত্র গায়ক অমিত কুমার।
বাবাকে টপকে…
কিশোর কুমার ছাড়াও অমিত কুমারকে দিয়ে একের পর এক হিট গান গাইয়েছেন আর ডি বর্মন। আর সেই হিট এমনই স্তরে পৌঁছায় যে, বাবা কিশোর কুমারকেও একবার ছাড়িয়ে যান তিনি। কীভাবে? তাহলে শোনা যাক সেই গল্প। আর ডি বর্মনের সুরে অমিত কুমারের বহু গান জনপ্রিয়। তার মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে ‘বড়ে আচ্ছে লাগতে হ্যায়’ তেমনই রয়েছে ‘আতি রহেঙ্গে বাহারেইন’। এছাড়াও, ‘কেহ দো কি তুম হো’, ‘ক্যায়সা তেরা প্যায়ার ক্যায়সা তেরি গুস্সা’, ‘সনম মেরি সনম’ তো রয়েছেই। তবে এসব গানের জন্য নয়। সম্পূর্ণ অন্য একটি গানের জন্য একটি বিশেষ পুরস্কার পান অমিত কুমার। আর সেই পুরস্কারের নিরিখেই বাবাকে টপকে জিতে যান অমিত কুমার।
আরও পড়ুন - রথযাত্রা মানেই শুরু দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন! ২০২৫ সালে কবে শারদোৎসব
বাবা-ছেলে দুজনেই পান মনোনয়ন
১৯৮২ সালে ফিল্মফেয়ারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন কিশোর কুমার, অমিত কুমার দুজনেই। কিশোর কুমার মনোনীত হন ‘তেরে মেরে বিচ ম্যায়’ গানটির জন্য, অমিত কুমার মনোনীত হন ‘ইয়াদ আ রহি হ্যায়।’ মনোনয়নের পরের ঘটনাটা একটি সাক্ষাৎকারে অমিত কুমার নিজেই বলেছিলেন।
আরও পড়ুন - বাড়ির কোন দিকে জগন্নাথের ছবি রাখা সবচেয়ে শুভ? কোন ঘরে রাখবেন না? জানুন বাস্তুমত
কী বলেছিলেন অমিত কুমার?
অমিত কুমার বলেন, তিনি তখন রাজকোটে পারফর্ম করছিলেন। তখন মোবাইল ছিল না। হঠাৎ তাঁর বাবার ফোন আসে। তিনি ছুটে যান। কিশোর কুমার তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারটি অমিত কুমার জিতেছেন। কিশোর কুমার মনোনয়ন তালিকাতে থাকলেও তিনি জেতেননি। অমিত কুমারের কথায়, ‘আমার এখনও মনে আছে, পুরস্কারটি আমাকে দিয়েছিল বাবাই।’ কিশোর কুমারের হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার এই অভিজ্ঞতা তাঁর আজীবনের সম্পদ বলে জানান তিনি।