২০২৩ সালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। আর এবার ইডির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে তাঁকে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আজ সকালে ইডি হানা দিতেই বিধায়কের বাড়িতে চরম নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর আগে সিবিআই যেবার তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল, তখন পুকুরে মোবাইল ছুড়ে ফেলেছিলেন। সেই মোবাইল অবশ্য উদ্ধার হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ একবছরেরও বেশি সময় জেলে ছিলেন তিনি। আর আজ ইডি তাঁর বাড়িতে হানা দিতেই নাকি নর্দমায় ছুড়ে ফেলেন মোবাইল ফোন। শুধু তাই নয়, হাফপ্যান্ট পরিহিত অবস্থাতেই ছুটে পালানোরও নাকি চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে ধরে ফেলেন।
উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় ইডি। আজ সকাল সকাল কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান ইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং তাঁর পিসির বাড়িতে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এর আগে এসএসসি নিয়োগ মামলায় জীবনকৃষ্ণ গ্রেফতার হয়েছিলেন। আপাতত সেই মামলায় তিনি জামিনে মুক্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের আন্দিতে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ইডি অফিসাররা গিয়েছেন। এছাড়া বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা হানা দিয়েছে। মায়া সাহা হলেন জীবনকৃষ্ণের পিসি। এদিকে এই অভিযানে ইডির সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
জানা গিয়েছে, আজ সকালের দিকে আন্দিতে জীবনকৃষ্ণের গ্রামের বাড়ি যায় দুটি গাড়ি। এর একটিতে ছিলেন ইডি অফিসাররা। দ্বিতীয় গাড়িটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ছিলেন। সেখানে গিয়েই জওয়ানরা আগে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। অন্যদিকে পাঁচ ইডি আধিকারিক জীবনকৃষ্ণের বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে তৃণমূল বিধায়ককে ইডি তদন্তকারীরা জেরা করছেন। এদিকে সাঁইথিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলর তথা জীবনকৃষ্ণের পিসির এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কী যোগ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সেখানে ইডি নাকি তল্লাশি চালাচ্ছে। মায়া সাহার বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে এই তল্লাশি অভিযান সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত মায়া বা জীবকৃষ্ণ ঘনিষ্ঠের কারও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এর ১৩ মাস পর তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে এতদিন তিনি জেলের বাইরে ছিলেন। এবার ফের ইডি তাঁকে গ্রেফতার করল।