বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড বানাতে সাহায্য করায় ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থানার পুলিশ। একই সঙ্গে হাবরা থানা এলাকার পৃথিবা থেকে অনুপ্রেশকারী ৩ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতরা ভারতের স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টায় ছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের বারাসত আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরেই বাংলাদেশিদের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে দলীয় কর্মীদের তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন রত্না বিশ্বাস।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ধৃত বাংলাদেশিরা হল মহম্মদ মতিউর রহমান, বাড়ি বাংলাদেশের নাটোর জেলায়। সন্ধ্যা রায় ও তার মেয়ে সুপর্ণা রায় বাংলাদেশের বরিশালের উজিরপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে সন্ধ্যা ও মতিউরকে আধার কার্ড করতে সহযোগিতা করেছিল পৃথিবার বয়রাগাছি এলাকার সায়েম হোসেন এবং মানিকতলা এলাকার মিন্টু দাস ও অমিত মন্ডল। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি আধার কার্ডও আটক করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে আনোয়ারবেড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের তোলা হয় বারাসাত আদালতে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত বাংলাদেশিদের এদেশে আসার বৈধ কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
বলে রাখি, ২০২৩ সালের নভেম্বরে পৃথিবার তৃণমূল নেতা জাকির হোসেনের উদ্যোগে স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দোস্তিদারের জন্মদিন পালনোর ব্যবস্থা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগদান করে তৃণমূলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন রত্না বিশ্বাস বলেছিলেন,‘জাকিরদার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি লোক বসবাস করেন। জাকিরদা লিংকটা ভালো করতে পারেন। যদি লিংকে কোনও সমস্যা হয়, বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের ভোটার লিস্টে নাম তোলার কোনও সমস্যা হয়। জাকিরদা এই কাজটা ভালো করে দেবে। আপনারা সবাই এই অফিসে এসে যোগাযোগ করবেন। এই কাজটা অতি দ্রুত করবেন। কারণ আমরা চাই না একটা ভোটও বাইরে থাকুক। সবাই ভোটাধিকারের আওতায় আসুক। সবাই সক্রিয় হয়ে এই কাজটা করুক’।
সেই পৃথিবাতেই এবার ধরা পড়ল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। সঙ্গে তাদের আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ৩ জন।