রাজ্যে স্কুলে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে গত কয়েক বছর ধরে অভিযোগ তুলছে বিজেপি। বিভিন্ন ভোটপ্রচারে এই অভিযোগে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন শাসকদল তৃণমূল। তবে বিজেপির অভিযোগ যে মিথ্যা নয় তার প্রমাণ পাওয়া গেল হাতে নাতে। ভাইরাল এক ভিডিয়োয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সরস্বতী পুজো করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। আর এই ঘটনায় খাস নিমাইয়ের জেলা নদিয়ার। ওদিকে এই অভিযোগ উঠতেই বুথ সভাপতি আলিমউদ্দিন মণ্ডলকে দলের সদস্য বলেই মানতে নারাজ তৃণমূল।
নদিয়ার হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত নগরউখড়ার দাসপোলডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো আয়োজনের ব্যবস্থা করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাশীরাম বর্মন। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে সরস্বতী পুজোর তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। অভিযোগ, সেকথা জানতে পেরে স্কুলে এসে হাজির হন তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি আলিমউদ্দিন মণ্ডল। কাশীরামবাবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, স্কুলে সরস্বতী পুজো হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে বদলি করে দেবেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের সামনেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে মারতেও ছুটে যান ওই তৃণমূল নেতা।
খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছয় নগরউখড়া ফাঁড়ির পুলিশ। তারা কাশীরামবাবু ও আলিমউদ্দিনকে নিয়ে থানায় পৌঁছয়। সেখানে সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে স্থানীয় তৃণমূল। তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নারায়ণ দাসের দাবি, আলিমুদ্দিন তৃণমূল করেন না। তিনি সিপিআইএম সমর্থক। শিক্ষকের সঙ্গে এই আচরণ করা উচিত নয়। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার বলেন, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুধেল গাইদের বেশি মাথায় তুলেছে বলেই এরা সরস্বতী পুজো বন্ধ করতে হুমকি দেওয়ার সাহস পাচ্ছে।
ওদিকে আক্রান্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেই সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু যে ভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাতে স্কুলে যেতে ভয় করছে।’