আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবড়ী চা বাগান এবার এমন এক চা নিয়ে হাজির, যার দাম শুনলেই চোখ কপালে উঠবে। প্রতি কেজির দাম এক লক্ষ টাকা। এই বিরল চায়ের নাম ‘গোল্ড টি’। তবে শুধু সোনার মতো দাম নয়, এতে সত্যিই রয়েছে সোনার ছোঁয়া। আর সেই ‘গোল্ড টি’ নিয়েই দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ট্রেড ফেয়ারে পা রাখছে ডুয়ার্সের এই চা।
আরও পড়ুন: ১০ বছর পর ফের চালু জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র, শুরুতেই ব্যাপক সাড়া, চলবে ১১ দিন
সোমবার মাঝেরডাবড়ীর ডাবড়ী টি লাউঞ্জে এক সাংবাদিক বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আনা হয় এই বিশেষ চা। আগে এই বাগানের মুনলাইট টি ও ম্যাঙ্গো টি চা-প্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ‘গোল্ড টি’, যা দু’ধরনের ভিন্ন ফ্লেভারে তৈরি হবে। ম্যানেজার চিন্ময় ধর জানান, দেশে এই প্রথমবারের মতো এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হল। তাঁর কথায়, ক্রেতারা যে ধরনের চা পছন্দ করেন, সেটি তৈরি করে দেওয়া হবে। এটাই হল বিশেষত্ব।
কিন্তু কেন এত দাম? উত্তর লুকিয়ে রয়েছে এর উপাদানে। চিন্ময় ধর জানান, দুটি ধরনের সোনা আছে। তার মধ্যে একটি ‘এডিবল গোল্ড’ বা খাওয়ার যোগ্য সোনা। সেই সোনার গুঁড়ো দিয়েই তৈরি হচ্ছে এই চা। সঙ্গে যোগ হয়েছে সুগন্ধি গোলাপের পাপড়ি। ফলে এর স্বাদ ও গন্ধ হয়ে উঠেছে অনন্য। শুধু তাই নয়, এই চা খেলে ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি ও হজম শক্তি উন্নত হওয়ার কথাও দাবি করছেন তিনি। অর্থাৎ একেবারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি এই চা।
বর্তমানে মাঝেরডাবড়ী চা বাগান ৪২ ধরনের ফ্লেভারের চা উৎপাদন করছে। ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আবহে মাঝেরডাবড়ীর এই নতুন উদ্ভাবন নিঃসন্দেহে শিল্পে নতুন দিশা দেখাচ্ছে। চিন্ময় ধর জানান, বহুদিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই প্রিমিয়াম চা তৈরি হয়েছে। প্রথম দফাতেই এটি রফতানি হবে দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ট্রেড ফেয়ারে। পাশাপাশি দিল্লির ডাবড়ীর আউটলেটে এর বিক্রিও শুরু হয়েছে। এবার বিদেশি বাজারে জায়গা করে নিতে চলেছে এটি। দুবাইয়ের ফেয়ারে প্রদর্শনের পর আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পাওয়ার আশা করছে কর্তৃপক্ষ।