আর জি করের জুনিয়র ডাক্তারের রহস্যজনক মৃত্যু মালদায়। যাদবপুরে ছাত্রীমৃত্যুর ঠিক পরের দিনই ঘটল এই ঘটনা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা ছিলেন অনিন্দিতা সোরেন নামের ওই আদিবাসী তথা আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার। শুক্রবার হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান, প্রেমিকের সঙ্গে অশান্তির জেরেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী। যদিও অনিন্দিতার পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গর্ভপাতে বাধ্য করেন যুবক
পুলিশ সূত্রে খবর, অনিন্দিতা সোরেনের (২৪) সঙ্গে পুরুলিয়ার এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। মালদার মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন ওই যুবক। সম্পর্ক পরে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। পুরীর মন্দিরে গিয়ে দুজনে বিয়ে করেন। এর পরই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন অনিন্দিতা। কিন্তু তাঁকে গর্ভপাতে বাধ্য করেন তাঁর প্রেমিক।
আরও পড়ুন - নেশার বিপক্ষে আমরা, সিসিটিভির দাবি করছি! যাদবপুরের ছাত্রী মৃত্যুর পরে দাবি SFI-র
মালদায় যা ঘটেছিল
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সময় অনিন্দিতার মা তাদের সামাজিক বিয়ে করার পরামর্শ দিলে তাও মানতে নারাজ হন ওই যুবক। বরং অনিন্দিতা রাজি ছিলেন সেই বিয়েতে। বাধ্য হয়ে গর্ভপাত করার পর থেকে দুজনের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। অনিন্দিতা সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য মালদায় যান। সেখানে একটি হোটেলে ঘর ভাড়াও নেন তিনি। এর পরই নাকি শুক্রবারের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন - বীরভূমে খাদান ধসে মৃত্যু ৫ শ্রমিকের, নিরাপত্তা ছিল আদৌ? বেআইনি? কী বলছে পুলিশ
বিষ্ফোরক অনিন্দিতার মা
শুক্রবার সকালে পরিবারের কাছে ফোন আসে। অনিন্দিতার মা-বাবাকে জানানো হয় মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। তারা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেখেন মেয়ের মুখ থেকে গ্যাঁজা বের হচ্ছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। পরিবারকে জানানো হয় তাঁদের মেয়ে মৃত। এর পরেই পরিবারের তরফ থেকে যুবকটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অনিন্দিতার মা আল্পনার দাবি, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করার মেয়ে নয়। ওই যুবকই ষড়যন্ত্র করে তাঁকে বিষ খাইয়ে খুন করেছেন। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা না খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।