আমন ধান চাষের মরশুম এলেই চাষিদের সবচেয়ে বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় সারের ব্যবস্থা নিয়ে। প্রতিবছর এই সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সারের দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে এমআরপি-র থেকে অনেক বেশি দাম দিয়ে সার কিনতে বাধ্য হন কৃষকরা। ফলে চাষিদের তখন চরম ভোগান্তি হয়। এই চিত্র এবার যাতে না দেখা যায়, তা নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই সক্রিয় হচ্ছে প্রশাসন। এরজন্য নেওয়া হচ্ছে কঠোর পদক্ষেপ। (আরও পড়ুন: ভারত সীমান্ত নিয়ে বড় বার্তা বাংলাদেশ সেনার,শোনা গিয়েছিল সংঘাতের ষড়যন্ত্রের কথা)
আরও পড়ুন: সারের কালোবাজারি রুখতে নজরদারির নির্দেশ নবান্নের, কড়া পদক্ষেপের বার্তা মন্ত্রীর
জানা যাচ্ছে, এরজন্য জেলাজুড়ে প্রতিটি ব্লকে তৈরি করা হচ্ছে একটি করে বিশেষ কমিটি। এই কমিটি ডিলারদের গুদামে হানা দেবে। কতটা সার মজুত আছে, কতটা বিক্রি হচ্ছে, প্রতিদিন সেই তথ্য তারা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠাবে। রসিদ ছাড়া কেউ সার বিক্রি করতে পারবে না। চাষিরা আঙুলের ছাপ দিয়েই সার কিনতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: ইউনুস জমানায় সুইস ব্যাঙ্কে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৩৩ গুণ!)
আরও পড়ুন: ইউনুস প্রশাসনে ভরসা নেই? বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর বড় বয়ানে উঠল প্রশ্ন
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি জানান, ব্লক ধরে নজরদারি চলবে। কোথাও দাম বেশি নিলে চাষিরা সরাসরি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। রসিদ না দিলে বা নিয়ম না মানলে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষি দফতর সূত্রের খবর, এতদিন বৃষ্টি না থাকায় বীজতলা তৈরি শুরু হয়নি। তবে মৌসুমী অক্ষরেখা এবং নিম্নচাপে জেরে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যে। এই বৃষ্টিতে বীজতলা তৈরির কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে। ফলে জমি চাষের আগে অনেকেই সার কিনছেন। গলসির এক কৃষক পাত্র জানান, গত কয়েক বছরে সার ও কীটনাশকের দাম অনেক বেড়েছে। যদি এবারও কালোবাজারি হয়, তাহলে চাষিরা আরও সমস্যায় পড়বেন। তবে গত বছর আলু চাষের সময় প্রশাসন সক্রিয় থাকায় এমন ঘটনা ঘটেনি। (আরও পড়ুন: ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটার নিয়মে বড় বদল, কী জানাল রেল?)