মাসখানেক আগে ওয়াকফ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জে। সেই ঘটনার এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দুই শীর্ষকর্তা। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সংগঠনটির সভাপতি মোস্তাকিম শেখ ও সম্পাদক কাউসার আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। (আরও পড়ুন: BSF-এর জালে ২ হিন্দু সহ ৫ বাংলাদেশি, অনুপ্রবেশকারীদের ফেরানো হল নিজেদের দেশে)
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না বলেই মুর্শিদাবাদে অশান্তি ছড়িয়েছিল, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
তদন্তকারীদের দাবি, ধুলিয়ান ডাকবাংলো মোড়ে সংগঠিত জমায়েতে এই দু’জনের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ওই জমায়েত থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযোগ, তাঁদের নেতৃত্বেই বহু কিশোর ও যুবক ওয়াকফ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। পরে পরিস্থিতি হিংসাত্মক রূপ নেয়।জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে আন্দোলনের জন্য অর্থসাহায্য মিলেছিল। পুলিশের সিটের তদন্তের রিপোর্টেও এই সংগঠনের ভূমিকাকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে কি ফের আদালতে রাজ্য? মামলা নিয়ে সামনে এল বড় দাবি)
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ এপ্রিল ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত ইস্যু ঘিরে সামশেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে একাধিক জায়গায় গোলমালের ঘটনা ঘটে। ওই সময়কার সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুই ব্যক্তি, তাঁদের নাম হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। ইতিমধ্যেই এই মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়েছে।সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই দুই এনজিও কর্তার অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এর ভিত্তিতেই শুলিতলা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল ভারতীয়কে, পরে ভুল বুঝে ব্যক্তিকে দেশে ফেরাল BSF)
এদিকে, হিংসার ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এসএপি-র ৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের সম্পূর্ণ ইউনিট বারাকপুর থেকে এনে আহিরনের একটি স্কুলে অস্থায়ী ঘাঁটি গড়ে মোতায়েন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিও তুঙ্গে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, হাজার হাজার লোক সেই ঘটনায় যুক্ত ছিল। পুলিশ কি সবাইকে ধরবে? যারা ভারতের আইন মানে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান জানান, ‘আইন অনুযায়ী তদন্ত হবে। যারা দোষী, তারা শাস্তি পাবে। আমরা শান্তির পক্ষে। কেউ যেন এই নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা না তোলার চেষ্টা করে।’