প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক রাজনৈতিক সভায় উপহার দিয়েছিলেন নিজের হাতে আঁকা ছবি। সেটা কেমন হয়েছে দেখে জানাবেন বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার হুগলির দীপতনুর বাড়িতে এল প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সেই চিঠি। গত ১২ মে লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে চুঁচুড়া ময়দানে জনসভা করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় হঠাৎ চোখ পড়ে এক যুবকের দিকে। ওই যুবক হাতে আঁকা একটি ছবি বাঁধিয়ে তুলে দেখাচ্ছেন। মঞ্চ থেকে তা দেখতে পান নরেন্দ্র মোদী। ওই একই তারিখে সাঁকরাইলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে অংশ নেয় দুই বোন বাণী এবং উন্নতি শর্মা। নিজের হাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি ছবি এনেছিলেন উন্নতি। তাদেরকেও চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
দীপতনু ছবিতে এঁকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মা হীরাবেনকে। প্রধানমন্ত্রী নিচে বসে আছেন, আর তাঁর মা হীরাবেন তাঁকে কিছু বোঝাচ্ছেন। এটাই ছিল ছবি। যা মন ছুঁয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর। দীপতনু মুখোপাধ্যায় একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। চন্দননগরের লালবাগানের বাসিন্দা। ওই ছবি দেখে প্রধানমন্ত্রী এসপিজিকে তা তাঁর কাছে নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ছবির পিছনে নিজের নাম ও ঠিকানা লিখে দিতে। তাঁকে চিঠি পাঠাবেনও বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার সেই চিঠি এল। মঙ্গলবার দুপুরে দীপতনুর লালবাগানের বাড়িতে পিওন এসে চিঠি দিতেই আনন্দিত হয়ে ওঠেন দীপতনুর মা দীপ্তি মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দায়িত্ব থেকে রাজ্যকে সরাতে নির্দেশ’, মন্ত্রীর কথা জানালেন বিস্তা
ওই চিঠি পড়ে দেখেন দীপতনুর মা। তারপর দীপ্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি গর্বিত। আমি ভাবতে পারিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী চিঠি পাঠাবেন। উনি বলেছিলেন উনি মুগ্ধ তাঁর মায়ের ছবি দীপতনু এঁকেছিলেন বলে।’ আর দীপতনু বক্তব্য, ‘মঞ্চ থেকে তিনি লক্ষ্য করে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন আমার ছবি। আমাকে চিঠি লিখবেন বলেছিলেন। আজ আমি গর্বিত প্রধানমন্ত্রীর সই করা তাঁর লেটার হেডে শুভেচ্ছা পত্র পেয়ে। একজন ভারতবাসী এবং বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত।’
এই ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। তিন মাস পর উন্নতির কাছেও চিঠি এল। উন্নতিকে তার চিত্রকর্মের প্রশংসা করে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উন্নতির পরিবারের সদস্যরা দারুণ খুশি হন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে বোন বাণী শর্মার সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছিলেন উন্নতি। দুই বোনই তাদের হাতে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি (পেন্সিল স্কেচ) নেড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর চোখ তাদের দিকে পড়লে তিনি তার বক্তব্য মাঝপথে থামিয়ে দেন। মঞ্চ থেকেই তাদের দুজনকে আশ্বস্ত করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিনিধিকে দুটি মেয়ের কাছে ছবি আনতে পাঠান। তারপর তাদের বাড়ির ঠিকানা নেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী চিঠি পাঠান তাদের বাড়িতে। চিঠি পেয়ে খুবই খুশি দুই বোনও।