এবার মুর্শিদাবাদে আসছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ভয়াবহ হিংসার খবর গিয়েছে মানবাধিকার কমিশনে। তারপরেই মুর্শিদাবাদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিম আসার সিদ্ধান্ত।
সূত্রের খবর, রাজ্যে আসছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। তারপরেই নড়েচড়ে বসে কমিশন। তিন সপ্তাহের মধ্য়েই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। এরপরই সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসবে মানবাধিকার কমিশন। সূত্রের খবর, ওড়িশার একটি মানবাধিকার সংগঠনের তরফে একটা অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। এরপর মুর্শিদাবাদে আসার কথা জানানো হয়েছে NHRC-এর তরফে। মনে করা হচ্ছে শীঘ্রই আসবে তাদের টিম।
সোশ্য়াল মিডিয়ার নানা পোস্ট ও হিংসার কথা উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একটি নালিশ জমা পড়ে।
তবে এর আগেও একাধিক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল বা জাতীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। এবার মুর্শিদাবাদ হিংসাতেও আসছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
এদিকে মুর্শিদাবাদে একেবারে ভয়াবহ হিংসা ছড়িয়েছিল। একের পর এক পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানো হয়। একের পর এক পরিবার ঘরছাড়া। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন ঝাড়খণ্ডে। কেউ আবার চলে গিয়েছেন মালদায়। বহু হিন্দু পরিবার প্রাণ হাতে করে পালিয়েছে অন্য়ত্র। তাদের ঠিক কী অপরাধ সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তাঁরা। তবে এটা বুঝতে পারছেন হিংসার আগুন তাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। ইতিমধ্য়েই প্রাণ গিয়েছে তিনজনের। বহু জনের সম্পত্তি নষ্ট।
প্রশ্ন একটাই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। কিন্তু তার আগুনে কেন পুড়ল সাধারণ মানুষের বাড়ি? কেন লুঠ করা হল শপিং মলে? কী দোষ ছিল সাধারণ মানুষের? উত্তর নেই।
এসবের মধ্য়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে মুর্শিদাবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। পুলিশ ব্যবস্থাও নিয়েছে। একের পর এক অ্য়াকাউন্টকে ব্লক করা হয়েছে।
এদিকে মুর্শিদাবাদ হিংসার পরে শান্তি স্থাপনে নানা মহল থেকে নানা আবেদন এসেছে।
তবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ আগেই বলেছিলেন,' যে জায়গাগুলিতে হিংসাত্মক ঘটনা কিছু ঘটেছে, সেখান থেকে অভিযোগ আসছে যে, বিএসএফ-এর একাংশের সহযোগিতায় সীমান্ত থেকে কিছু আপত্তিকর হামলাকারীকে ঢুকিয়ে বাংলাকে বদনাম করার জন্য, ইস্যু করার জন্য, প্ররোচনা দেওয়ার জন্য এই গন্ডগোল করানো হয়েছে।' ' যে মুখগুলো গন্ডগোল করেছে, তাদের মূল পান্ডাদের এলাকার মানুষ চিনতে পারছে না।' তিনি দাবি করেন,' যারা অশান্তি করেছে নিশ্চয়ই পুলিশ তাদের মতো করে ধরছে, ব্যবস্থা নিচ্ছে।'