হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে বিক্ষোভ দেখায় যুবকের পরিবার । পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে হাসপাতালের দরজা। তার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় অন্যান্য রোগীদের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগর হাসপাতাল চত্বরে। মৃত যুবকের নাম সুপ্রিয় সাঁতরা (২৮)।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি, ভাইকে বাঁচাতে এসে প্রাণ গেল দাদার
কী ঘটেছিল?
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিয় ভদ্রেশ্বরের বিঘাটির বাসিন্দা। ভদ্রেশ্বর স্টেশন রোডে তার গাড়ির সঙ্গে গৌতম দাস নামে এক ব্যক্তির ধাক্কা লাগে। তিনি গাড়ির ধাক্কায় রাস্তা থেকে ছিটকে পড়েন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৌতম দাসের সঙ্গে তুমুল বচসা বাঁধে সুপ্রিয়র। গৌতম তাকে গালিগালাজ করেন। এরপর সুপ্রিয় বচসা চলার সময় গৌতমকে লোহার রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে। তাতে গৌতমের মাথা ফেটে যায়। তখন সুপ্রিয় নিজের গাড়ি করে গৌতমকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে, খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে পৌঁছন গৌতমের পরিবারের লোকজন। তবে চোট সামান্য থাকায় চিকিৎসকরা আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেন।হাসপাতালের গেটেই অপেক্ষা করছিলেন সুপ্রিয়। এরপরেই আহত গৌতমের ছেলে ও তার পরিজনরা সুপ্রিয়কে ছেঁকে ধরেন। কেন গৌতমের মাথা মেরে ফাটানো হল? এই নিয়ে তাদের বাদানুবাদ শুরু হয় সুপ্রিয়র সঙ্গে।তখন পরিবারের সদস্যরা কয়েকজন মিলে বেধড়ক মারধর করে সুপ্রিয়কে। মারধরের ফলে হাসপাতালের গেটেই লুটিয়ে পরেন তিনি। তখন কয়েকজন মিলে তাকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। কিন্তু, সেখানে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর এবার খবর পেয়ে ভদ্রেশ্বর বিঘাটিতে চলে আসেন যুবকের পরিবার ও গ্রামের লোকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ পৌঁছলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় মৃত যুবকের পরিবার। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চন্দননগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে হাসপাতালে। গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন অন্যান্য রোগীর পরিবার। পুলিশ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে।