স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কামালগাজিতে বেশি রাতে যুবককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গুলি করে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাত ১২টা নাগাদ কামালগাজি ফরতাবাদ এলাকায় হঠাৎই বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন তাঁরা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। আর দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবক মাটিতে পড়ে কাতড়াচ্ছেন। ওই রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কে বা কারা ওই যুবককে গুলি করে খুন করল? সেটার তদন্ত শুরু করে দেখছে পুলিশ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশি রাতে কামালগাজির ফরতাবাদ এলাকায় গুলির চলার আওয়াজ মেলে। রাস্তায় বেরিয়ে দেখা যায়, এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। তখনই উপস্থিত বাসিন্দারা নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেন। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এলাকায় ভাল ছেলে হিসাবেই পরিচিত। ব্যবসা করতেন। তাঁকে এমন গুলি করে খুন করার পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত যুবকের নাম শাহিদ মণ্ডল (২৬)। শাহিদ তাঁর বাবা শাহজাহান মণ্ডলের আলুর ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। এদিন ব্যবসার বকেয়া টাকা সংগ্রহে বেরিয়েছিলেন তিনি। সারাদিন বাবার সঙ্গে গোডাউনে ব্যবসা করতেন। বিকেলের পর যেতেন টাকা আদায় করতে। এলাকায় ভাল ছেলে হিসাবেই পরিচিত ছিলেন শাহিদ। তাঁর এমন পরিণতি নিয়ে এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে কাদের হাত আছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য কোনও কারণ আছে নাকি ব্যবসার কারণেই খুন তাও দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রেড রোডে পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী, ১১ জন আইএএস পেলেন বিশেষ সম্মান
আর কী জানা যাচ্ছে? এই যুবক সবসময় সেজেগুজে থাকতেন। রাতে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। এটাই মোটামুটি রোজকার রুটিন। সেটা কেউ রেইকি করেছিল। আর তারপর রাতের অন্ধকারে গুলি করে খুন করেছে বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকায় ভাল ছেলে হিসাবে পরিচিত ছিলেন শাহিদ। খুন করার কারণ তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। এই নিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ জানান, তদন্তের স্বার্থে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের সঙ্গে কাদের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য পুলিশ পেয়েছে।