নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করে পুঁতে ফেরালর চেষ্টা। হাতে নাতে ধরা পড়ার পর গণধোলাইয়ে মৃত্যু হল অভিযুক্তের। মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানা এলাকার জামকুড়ি গ্রামের ঘটনা। নাবালিকা ও অভিযুক্ত লালুপ্রসাদ লোহারের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
নিহত নাবালিকার পরিজনরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় যুবক লালুপ্রসাদ ১০ বছর বয়সী নাবালিকাকে খাবার কেনার লোভ দেখিয়ে কোলে তুলে নিয়ে চলে যায়। অভিযোগ, এর পর গ্রামে ভিতর এক ঝোপে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। প্রমাণ লোপাট করতে প্রথমে নাবালিকার গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করে। তার পর মাটি খুঁড়ে ওই জঙ্গলেই দেহটি পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা করে।
লালুকে দেহ মাটি চাপা দেওয়ার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলেন কয়েকজন গ্রামবাসী। এর পর শুরু হয় গণধোলাই। গুরুতর আহত লালুপ্রসাদকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কোদাল। লালুর দেহ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, লালুপ্রসাদ সক্রিয় বিজেপি কর্মী। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল সে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ উঠেছিল। সব জেনে বিজেপি তাকে দলে জায়গা দিয়েছে।
পালটা বিজেপির দাবি, দলের পতাকা হাতে নিয়ে কেউ রাস্তায় হাঁটলেই সে দলের সদস্য হয় না। লালুপ্রসাদ দলের কোনও পদে নেই। তৃণমূল অহেতুক এই ঘটনায় রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে।