ফের ভুয়ো ডাক্তার গ্রেফতার। কলকাতার একটি নামী হোমিওপ্যাথিক ক্লিনিকের নাম করে নিজেকে চিকিৎসক বলে দাবি করেন ওই ক্লিনিকেরই প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী। নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তিনি রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা চালাচ্ছিলেন। শেষপর্যন্ত ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ভুয়ো ডাক্তারের নাম প্রদীপ পাল। উত্তর ২৪ পরগনার থেকে বনগাঁ থেকে লালবাজারের গোয়েন্দাদের তৎপরতায় গ্রেফতার হন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: ভুল চিকিৎসায় আঙুল বাদ দিতে হয়েছিল যুবতীর, কলকাতার নাকের ডগায় গ্রেফতার ভুয়ো ডাক্তার
পুলিশ সূত্রে খবর, এলগিন রোডে অবস্থিত দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী হোমিও ক্লিনিকে একসময় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন প্রদীপ পাল। সেখানেই ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে অল্পবিস্তর জ্ঞান অর্জন করেন তিনি। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে বিরোধের জেরে চাকরি চলে যায়।
এর পরেই শুরু হয় প্রতারণার নতুন অধ্যায়। নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর, নামখানা-সহ বিভিন্ন এলাকায় হোমিওপ্যাথিক ক্লিনিক খুলে বসেন প্রদীপ। শুধু তাই নয়, পুরনো ক্লিনিকের নামও ব্যবহার করা হয় পোস্টার ও প্রচারে। ফলে রোগীদের মধ্যে তৈরি হয় বিশ্বাস।
তবে একসময় কয়েকজন রোগী ভবানীপুরের মূল ক্লিনিকে খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, প্রদীপ সেখানে কর্মরত নন, বরং তাঁকে আগেই ছাঁটাই করা হয়েছে। শুধু তাই নয় তিনি একজন নিরাপত্তারক্ষী। বুঝতে বাকি থাকে না যে চিকিৎসা চলছে ভুয়ো পরিচয়ে। এরপরই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।তল্লাশি শুরু হতেই প্রদীপ পাড়ি দেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। সেখানে নতুন করে আরেকটি ক্লিনিক খুলে ফের চিকিৎসা শুরু করেন। অবশেষে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনগাঁ থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রদীপ চিকিৎসকের কোনও প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার ধারা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে, তাঁর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, এই ঘটনা থেকে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নাম বা প্রচারে ভরসা না রেখে সব সময় যাচাই করে তবেই চিকিৎসা করানো উচিত।