মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। মাস কয়েকের দোলাচলের পর গত সপ্তাহে দলের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশের পালটা খড়গপুরে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তিনি। আর ২১ জুলাইয়ের সকালে মুখ খুলে বিস্ফোরকম দাবি করলেন সেই দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘হালচাল দেখে আমার মনে হচ্ছে এটাই শেষ শহিদ দিবস। তার পর তৃণমূলই শহিদ হবে।’
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদ দিবসটাকে ডিম্ভাত দিবস করে ফেলেছেন। এবারের হালচাল দেখে আমার মনে হচ্ছে এটাই শেষ শহিদ দিবস। তার পর তৃণমূলই শহিদ হবে। ২৬এ বোধ হয় ওরা আর শহিদ দিবস করার সুযোগ পাবে না। তৃণমূলের ওই মঞ্চ থেকে আর হবে না। অন্য কেউ ২১শে জুলাই করবে। পুলিশের গুলিতে কিছু রাজনৈতিক কর্মী শহিদ হয়েছেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যে কেউ করতে পারে। কংগ্রেসি ছিলেন তাঁরা। তৃণমূল তাদের লুঠ করে নিয়েছে। এই পার্টিটাই লুঠের পার্টি। কারও বাড়ি ঘর সম্পত্তি মান সম্মান লুঠ করছে। কংগ্রেসের কাছ থেকে শহিদ লুঠ করে নিয়েছে। আজকে যারা নেতা হয়ে খাচ্ছে, লুঠছে, ওই শহিদ দিবসের সঙ্গে তাঁদের কী সম্পর্ক? কেবল একটা রাজনৈতিক চমক। বাঙালির সন্টিমেন্টটাকে জাগিয়ে ভোট নেওয়ার জন্য।’
তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পালটা সোমবার খড়গপুরের গিরি ময়দানে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি সভার আয়োজন করেছে বিজেপি। সেই সভার নেতৃত্বে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। দিঘায় জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই প্রথম কোনও দলীয় কর্মসূচিতে হাজির থাকছেন তিনি।