
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলিতে ইসরোর তৈরি ট্রান্সপন্ডার যন্ত্র বসানো শুরু করল রাজ্য সরকার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বড় -বড় মাছ ধরার ট্রলারগুলিতে এই যন্ত্র বসানো হচ্ছে। এর ফলে মৎস্যজীবীরা বিপদে পড়লে দ্রুত সাহায্য পেয়ে যাবেন। তাছাড়াও, আন্তর্জাতিক জল সীমান্ত ভুল করে পার করার প্রবণতাও কমবে।
আরও পড়ুন: আর আবেদন-নিবেদন নয়, সমুদ্র সাথীর টাকা না পেয়ে মাইকে প্রচার শুরু জেলে পাড়ায়!
জানা যাচ্ছে, এই যন্ত্র স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাজ করে এবং মোবাইল ফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর ফলে মৎস্যজীবীরা ঢেউ-ঝড় বা অন্য যেকোনও বিপদের সময় উপকূল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। তাঁরা নিজের অবস্থান জানাতে পারবেন এবং তাড়াতাড়ি সাহায্যও পেয়ে যাবেন। প্রথম ধাপে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ আর ডায়মন্ড হারবার এলাকার ৩০০টি বৈধ ও নিয়ম মেনে চলা ট্রলারে এই যন্ত্র বসানো হচ্ছে। একই সময়ে পূর্ব মেদিনীপুরে ২০০টি ট্রলারে বসানো হচ্ছে এই যন্ত্র। জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ, রায়দিঘি ও ফ্রেজারগঞ্জের বন্দরে ইতিমধ্যেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে শেষ পর্যায়ে চলছে বসানোর কাজ।
মৎস্যজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই যন্ত্রের দাম প্রায় ৪৫,০০০ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য মৎস্য দফতর যৌথভাবে এই অর্থ দিচ্ছে। রাজ্য মৎস্য দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই যন্ত্রের সাহায্যে মৎস্যজীবীরা উপকূলরক্ষী বাহিনী বা অন্যান্য নির্দিষ্ট অফিসে বার্তা পাঠাতে ও সংগ্রহ করতে পারবেন।
এই যন্ত্র থেকে মৎস্যজীবীরা আবহাওয়ার খবর, ঝড়ের সতর্কতা এবং নিজেদের অবস্থান জানতে পারবেন। পাশাপাশি, মোবাইলে থাকা ‘নবমিত্র’ নামে এক অ্যাপের মাধ্যমে মাছ পাওয়ার ভালো জায়গা, আবহাওয়া ও অন্যান্য দরকারি তথ্যও পাওয়া যাবে। এর ফলে মাছ ধরাও সহজ হবে, আর ঝুঁকিও কমবে। জানা যাচ্ছে, এই যন্ত্র মোবাইল টাওয়ারের সাহায্য ছাড়াই কাজ করতে পারে। তাই সমুদ্রের অনেক দূরে থেকেও সংযোগ রাখতে সক্ষম এই যন্ত্র। বাংলা সহ আরও কয়েকটি ভাষায় এই তথ্য পাওয়া যায়। ফলে মৎস্যজীবীরা সহজে বুঝতে পারেন।
ডায়মন্ড হারবারের মৎস্য বিভাগের কর্তা সুরজিৎ বাগ জানিয়েছেন, এই যন্ত্র নিরাপত্তা বাড়াবে। পরবর্তীতে প্রায় ৯,০০০ লাইসেন্সপ্রাপ্ত ট্রলারে ধাপে ধাপে এই যন্ত্র বসানো হবে। কাকদ্বীপে এই কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক প্রীতম পান্ডা জানিয়েছেন, যন্ত্রটা এমনভাবে বানানো যে বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে গেলে নিজে থেকেই সতর্ক করে দেবে। ফলে ভুল করে সীমান্ত পেরোনোর ঝুঁকি কমে যাবে।
একজন মৎস্যজীবীর কথায়, আগে ফোনে সিগন্যাল থাকত না। এখন এই যন্ত্র দিয়ে বিপদে থাকলে তাড়াতাড়ি সাহায্য চাওয়া যাবে। এটা খুব ভালো উদ্যোগ। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘এই যন্ত্রের সাহায্যে বার্তা আদান প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এটা সত্যিই অনেক উপকারে আসবে।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports