
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাড়োয়া। চলল গুলি, বোমা। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। কমপক্ষে তিন-চারজন আহত হয়েছেন। তাঁদের আর জি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার হাড়োয়ার মোহনপুরে ট্যাংরামারি এলাকায় একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়েছিল। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনার পর বাড়ি ফিরছিলেন একদল তৃণমূল সমর্থক। অভিযোগ, সেই সময় মোহনপুরের অঞ্চল সভাপতি যজ্ঞেশ্বর প্রামাণিকের বাড়ি থেকে তাঁদের লক্ষ্য গুলি চালানো হয়। প্রায় ১০-১২ রাউন্ড গুলি চলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল লক্ষ্মীবালা মণ্ডলের (৬২)। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সন্ন্যাসী সর্দারকে হাড়োয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কয়েকজন আহতকে উদ্ধার করে আর জি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, হুড়োহুড়ির মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে লক্ষ্মীবালার। তবে তাঁর গুলি লেগেছিল কিনা, তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই যজ্ঞেশ্বরের সঙ্গে এলাকার যুব নেতা তাপস রায়ের দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ রয়েছে। যজ্ঞেশ্বরের দল পরিচালনা নিয়ে তাপস অনুগামীদের আপত্তি আছে। দু'পক্ষের মধ্যে এলাকা দখল নিয়েও দ্বন্দ্ব চলছে। তারইমধ্যে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাপসের অনুগামীদের লক্ষ্য করে যজ্ঞেশ্বরের অনুগামীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন বলে অভিযোগ। যে সভায় বুধবার দলের মধ্যে কোন্দল থামানোর নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মমতা।
তবে গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়ে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports