নুন খেলে গুন গাইতেই হবে। ফের একবার রাখঢাক না রেখে প্রকাশ্য সেকথা খোলসা করেই ফেললেন আরও এক তৃণমূল নেতা। ভাঙড়ের ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মোদাস্সের হোসেনের সাফ কথা, ‘ঘরের টাকা পেলে তৃণমূল করতেই হবে।’ একথা যখন তিনি বলছেন তখন তাঁর পাশে বসে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা ভাঙড়ে দলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভাঙড়ের কাঁঠালিয়াতে একটি কর্মিসভায় উপস্থিত হয়ে মোদাস্সের হোসেন বলেন, ‘ঘরের টাকা যারা পেয়েছো তাদের তৃণমূল করতে হবে। ঘরের টাকা নিবি, দিদির সব উন্নয়ন নিবি, আর ভাইজানের মিটিং এ নাচতে নাচতে যাবি সেদিন আর নেই!’
পাশাপাশি ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করে ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে কর্মীদের ক্ষোভ আছে বলেও তিনি এদিন জানান। তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত থেকে পাঠানো তালিকার উপভোক্তাদের টাকা ঢুকতে দেরি হচ্ছে। আর ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করলে টাকা তাড়াতাড়ি ঢুকছে। সেকারণে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ আছে বলে জানান তিনি।
বলে রাখি, রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা নিলে তৃণমূলকে সমর্থন করতে হবে, শাসকের এই শাসানি নতুন নয়। এর আগেও একাধিক তৃণমূল নেতার মুখে শোনা গিয়েছে এই বয়ান। এমনকী সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের জয়ের পর সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারসহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়ে গেছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
বিরোধী বিজেপির দাবি, মানুষের করের টাকা বিলি করে ভোট কিনতে চাইছে তৃণমূল। গরিব মানুষকে শাসিয়ে তাদের মতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তারা। যা চরম অগণতান্ত্রিক মনোভাব।