১০ বছর আগে ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী ফুলেশ্বরী এলাকাতে একটি সিমেন্টের দোকানে ভ্যান চালকের কাজ করত। সম্প্রতি কয়েকমাস ধরেই স্ত্রীর চালচলনে সন্দেহ হতে শুরু করে স্বামীর। তার স্ত্রী খুবই সুন্দরী ছিলেন। শাঁখা–সিঁদুর খুলে রেখেছিল সে।
গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী
পরকীয়ায় মজেছেন স্ত্রী। এই সন্দেহে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করল স্বামী। এই ঘটনায় শিউরে উঠল শিলিগুড়ি। শাঁখা–সিঁদুর পরা বন্ধ করেছে স্ত্রী। আর তারপরই স্বামীর সন্দেহ হয়েছিল স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। আর এই সন্দেহের বশেই গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী বলে অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির ভক্তিনগর এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছে শিলিগুড়িতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, পরকীয়ার সন্দেহে প্রথমে রাগের বশবর্তী হয়ে স্ত্রীকে এলোপাথারি ছুরির আঘাত করে স্বামী। পরে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করতে স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে স্বামী। এই ঘটনাটি ঘটেছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার ভক্তিনগর এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, স্ত্রীকে সবজি কাটার ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন স্বামী সুদীপ বৈশ্য। ১০ বছর আগে ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী ফুলেশ্বরী এলাকাতে একটি সিমেন্টের দোকানে ভ্যান চালকের কাজ করত। সম্প্রতি কয়েকমাস ধরেই স্ত্রীর চালচলনে সন্দেহ হতে শুরু করে স্বামীর। তার স্ত্রী খুবই সুন্দরী ছিলেন। শাঁখা–সিঁদুর খুলে রেখেছিল সে। যখন তখন বাড়ির বাইরে কাউকে কিছু না জানিয়েই বেড়িয়ে যেত। তাতেই স্বামীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। সন্দেহ এমন পর্যায়ে যায় যে মাঝেমধ্যেই দু’জনের মধ্যে গণ্ডগোল চরমে উঠত। এমনকী দু’সপ্তাহ আগে থেকে ভাড়া বাড়িতেও ফিরত না সুদীপ। হঠাৎ রবিবার রাতে বাড়ি ফিরেই স্ত্রীকে ফের পুরনো শাঁখা–সিঁদুর পড়তে দেখে পরকীয়ার সন্দেহ তার চরমে ওঠে। কী কারণে আবার শাঁখা–সিঁদুর পড়া হয়েছে স্ত্রীর কাছে তা জানতে চান অভিযুক্ত। এই প্রশ্নের কোনও উত্তর না দেওয়ায় রেগে যায় সুদীপ। তখনই সেখানে পড়ে থাকা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।