বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Abhishek Banerjee's wealth: নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে অভিষেকদের সম্পত্তি বৃদ্ধির যোগ? আয়ের উৎস কী? জানতে চাইল হাইকোর্ট
পরবর্তী খবর
Abhishek Banerjee's wealth: নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে অভিষেকদের সম্পত্তি বৃদ্ধির যোগ? আয়ের উৎস কী? জানতে চাইল হাইকোর্ট
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 12 Dec 2023, 10:14 PM ISTAyan Das
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা এবং লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নথি জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, আয়ের উৎস কী?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অমৃত সিনহা। (ফাইল ছবি)
২০১৪ সালের পর থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জমা দেওয়া নথিপত্রের প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তরফে জানানো হয় যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক, রুজিরা এবং লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নথি জমা পড়েছে। তারপরই সেই মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থার থেকে অভিষেকের আয়ের উৎস জানতে চান।
মঙ্গলবার হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত যে নথি জমা পড়েছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে তদন্ত থমকে যাবে না। আরও এগিয়ে যাবে তদন্ত। ইডির আইনজীবীর সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সিনহা মন্তব্য করেন, যে বিপুল পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা প্রচুর সম্পত্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সম্পত্তির পরিমাণ কম হলে বিপুল পরিমাণে নথি জমা পড়ত কিনা, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি সিনহা। সেইসঙ্গে যে পরিমাণ সম্পত্তি আছে, সেটা কোথা থেকে এসেছে, তা ইডি তদন্ত করে দেখেছে কিনা, সেটাও জানতে চান।
কিন্তু সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে খুব একটা সরাসরি উত্তর দেননি ইডির আইনজীবী। সেই পরিস্থিতিতে বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, আয়ের উৎস কি খুঁজে দেখা হয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই তো ইডির তদন্তের মূল বিষয় হওয়া উচিত। আইনে ইডির হাতে সেই ক্ষমতাও আছে বলে জানান বিচারপতি সিনহা। তারপর কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী দাবি করেন যে আয়ের উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ইডি।
সেইসবের মধ্য়ে আরও একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, যে নথি জমা পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে অধিকাংশ সম্পত্তি বেড়েছে ২০১৪ সাল থেকে। যে সময়ের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছিল। তাতে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। ফলে ওই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সম্পত্তি বৃদ্ধির কোনও যোগ আছে কিনা, তা জানতে চান। সেই প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী জানান যে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যাবতীয় তথ্য আছে। তা হাইকোর্টে পেশ করা হবে।
সেই মন্তব্যে অবশ্য তেমন সন্তোষপ্রকাশ করেননি বিচারপতি সিনহা। বরং কড়া সুরে তিনি মন্তব্য করেন, ইডি যেন হাইকোর্টে এসে স্রেফ ৫,০০০ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়ে খালাস না হয়ে যায়। মামলার ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, শুধু সেই অংশই দু'দিনের মধ্যে ইডিকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। যিনি ইডির তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।