বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির মামলার নিষ্পত্তিতে কর্তৃপক্ষ এবার বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছুদিন আগে একটি হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি। এই বিচারপতিকে সহায়তা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডিন ও একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী। মূলত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দফতরের শীর্ষ আধিকারিক এবং প্রাক্তন রেজিস্ট্রারের ভূমিকা কতটা বিতর্কিত কিংবা সন্দেহজনক ছিল, তা খতিয়ে দেখতে এই কমিটি গঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিআইডি তদন্তে অসন্তোষ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে লালবাজার
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্করকুমার নাথ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই আর্থিক দুর্নীতির ঘটনা তদন্তে পুলিশও সক্রিয়, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় নিজের তরফ থেকে পুরো ঘটনার স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত নিশ্চিত করতে এই কমিটি গঠন করেছে। তিনি আরও জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে আসার পর যথাযথ এবং কঠোর প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরীকে ঘিরে। তিনি আট মাস আগে অবসর নিলেও পরবর্তী সময়ে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হয়, এটা নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একাধিক প্রশ্ন এবং ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অবসরের পরেও কীভাবে ফের তাঁর কার্যকাল বাড়ানো হল কিংবা কে সেই সিদ্ধান্ত নিল? সেইসব তথ্যও তদন্তের আওতায় পড়ে গিয়েছে। এদিকে, মূল আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তি এখনও ফেরার, ফলে তদন্ত শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছেন সকলেই।