বাড়িতে আর্থিক অনটন। বাবা প্রান্তিক কৃষক। কলকাতা থেকে অনেক দূরে দার্জিলিং জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম সদরগছ। কলকাতার মতো অনেক সুযোগ সুবিধাই নেই সেখানে। আর সেই প্রত্যন্ত মুরলীগঞ্জ থেকেই নজরকাড়া সাফল্য পেল হরেকৃষ্ণ রায়। মুরলীগঞ্জ হাইস্কুলের ছাত্র হরেকৃষ্ণ। তার এই সাফল্যে খুশি তার পরিবার। খুশি তার স্কুলের শিক্ষকরা। কিন্তু এত সাফল্যের পরেও মনের মধ্যে একটি দুশ্চিন্তা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। উচ্চশিক্ষার জন্য় যে অনেক অর্থের প্রয়োজন। সেই অর্থ কীভাবে জোগাড় হবে? আগামী দিনে ডাক্তার হওয়ার ক্ষেত্রে কি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে এই আর্থিক অনটন?
সব মিলিয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৭। অর্থাৎ ৯২.৪২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। তবে স্কুলের শিক্ষকরা তাকে আশ্বস্ত করেছে সব সময় তাঁরা আগের মতোই পাশে থাকবেন। এটাই বড় ভরসা হরেকৃষ্ণের কাছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে হরেকৃষ্ণ জানিয়েছে, স্কুলের স্যারেরা সব সময় পাশে থেকেছেন। না হলে এতটা এগোতে পারতাম না। স্যারেদের প্রতি আমি সবসময় কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চাই। কলকাতার ভালো জায়গায় প্রশিক্ষণ নেওয়ার ইচ্ছা। কিন্তু আর্থিক অনটনের জন্য কতটা সম্ভব হবে জানি না। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাব।
হরেকৃষ্ণ বাংলায় ৯৫, ইংরাজিতে ৮১, অঙ্কে ৯৩, ভৌত বিজ্ঞানে ৯২, জীবন বিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯১ ও ভূগোলে ৯৮ নম্বর পেয়েছে।
আসলে অদম্য় জেদ তাকে এতদূর এনেছে। আর্থিক প্রতিকূলতাকে টপকে এগিয়ে যাচ্ছে উত্তরের চা বলয়ের সন্তান হরেকৃষ্ণের মতো আরও অনেকেই। হয়তো তাদের কথা সবসময় সামনে আসে না। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।