সারের কালোবাজারি রুখতে সক্রিয় প্রশাসন। রাসায়নিক সারের চাহিদা ঘিরে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যদি কেউ অতিরিক্ত দাম দাবি করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরাসরি এমন হুঁশিয়ারি দিল কৃষি দফতর। দফতরের তরফে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, এমআরপি-র থেকে বেশি দামে সার বিক্রি হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর লাইসেন্স এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হবে।
আরও পড়ুন: আমন ধান চাষ ঘিরে সারের কালোবাজারির আশঙ্কা, রুখতে সব ব্লকে কমিটি গড়ছে প্রশাসন
কৃষি আধিকারিকদের বক্তব্য, বাঁকুড়া জেলায় এই মুহূর্তে পরবর্তী এক মাসের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সার মজুত রয়েছে। সম্প্রতি মালগাড়িতে করে আসা নতুন চালান বিভিন্ন মহকুমায় বণ্টনও করা হয়েছে। ফলে চাষিদের চাহিদা পূরণে কোনও ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। তবুও কিছু এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে সার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। কোথাও কোথাও বেশি দামে সার বিক্রির বিরুদ্ধে রীতিমতো পথ অবরোধ করেছেন কৃষকেরা। প্রশাসনের দাবি, পরিকল্পনামাফিক অপপ্রচার করে বাজারে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আবার কিছু কৃষক আগাম আলু চাষের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সার মজুত করছেন, ফলে অস্থায়ী ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের উদ্দেশে দফতরের বার্তা, বাড়ির পাশে না পাওয়া গেলে আশপাশের গ্রামে গিয়ে সরকারি দামে সার সংগ্রহ করুন। আর কোথাও বেশি দাম চাওয়া হলে, সরাসরি ব্লক কৃষি দফতরের অভিযোগ জানান।