চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। ব্যতিক্রম কেবলমাত্র সোমা দাস। অত্যন্ত মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চাকরি যায়নি তাঁর। হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখেই চাকরি রয়েছে সোমা দাসের। তিনি ক্যানসার আক্রান্ত। সেকারণে তাঁর চাকরি রয়েছে। তবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশের দাবি, যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের মধ্য়ে একাধিকজন ক্যানসার আক্রান্ত। তাহলে তাঁদের চাকরি কেন যাবে?
ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগরের সায়ানগাম ভাওয়াল। টিভি ৯এর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে বিধাননগরের কুরমানালি হাইস্কুলে শিক্ষকের চাকরি পান তিনি। এরপর ২০২৪ এর ডিসেম্বর মাস। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। পরে জানা যায় তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। পরিবারের উপর নেমে আসে বিপর্যয়। এরপর শুরু হয় চিকিৎসা। বাড়িতে রয়েছেন শিশু কন্যা, স্ত্রী, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী।
মুম্বইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে। কেমোথেরাপি হয়েছে। একটু একটু করে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইটা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাঁচতে হবেই। এই ইচ্ছেকে সম্বল করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রমশ। কিন্তু তার মধ্য়েই এল বিরাট বিপর্যয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে তাঁরও। একেবারে ভেঙে পড়েছেন তিনি। কান্না ছাড়া আর কোনও পথে দেখছেন না। মনোবল ক্রমে ভেঙে পড়ছে।