
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
আজ অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে দ্বারোদ্ঘাটন হয়ে গেল দিঘার জগন্নাথ মন্দির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু কথা বলে মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সঙ্গে আছেন সাংসদ দেব থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রীরা। আজ বুধবার সকাল থেকেও শুরু হয়েছে যজ্ঞ। তৈরি হয়েছে যজ্ঞকুণ্ড এবং কুম্ভকুণ্ড। সেখানে বন্ধ দরজার ভিতরে জগন্নাথের বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অন্যতম প্রধান সেবায়েত রাজেশ দ্বৈতাপতির নেতৃত্বে পুরোহিতেরা এই কাজ করেন। সঙ্গে রয়েছেন ইসকনের কর্মকর্তা তথা দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য় রাধারমণ দাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে যান রাজেশ দ্বৈতাপতি।
শুভক্ষণে মন্দিরের দ্বার উন্মোচন করে দরজা ঠেলে ঢুকলেন মন্দিরের ভিতরে মুখ্যমন্ত্রী। ভিতরে একঝলক দেখা গেল জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ। বিগ্রহের সামনে আরতিও করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অক্ষয় তৃতীয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ দুপুর ৩টে থেকে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। তাই ওই সময়ের মধ্যে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হল। দ্বারোদ্ঘাটন করলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তার পর পাঁচ মিনিটের জন্য মন্দিরের দরজা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। মমতা উপস্থিত শিল্পী, পুরোহিতবৃন্দ, সন্ন্যাসী, তারকা এবং স্থানীয় মানুষজনকে ধন্যবাদ জানান। যাঁরা এই মন্দির তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, সেই সব স্থপতি এবং শ্রমিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: চলন্ত মোটরবাইকে ঝাঁপিয়ে আক্রমণ চিতাবাঘের, মালবাজারে তুলকালাম কাণ্ডে আতঙ্ক
এদিন নিয়ম মেনে প্রথমে নিমকাঠের তৈরি জগন্নাথ মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সম্পন্ন করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জগন্নাথের পাথরের বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করা হয়। একই সঙ্গে রাধাকৃষ্ণের পাথরের মূর্তিতেও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। রীতি অনুযায়ী প্রথমে ভগবানকে সোনা, রুপো ও তামার তার দিয়ে বেঁধে সেই তারকে প্রধান পুরোহিতের কোমড়ে বাঁধা হয়। এরপর ঘট স্থাপন, কুণ্ড ও অবশেষে প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয়। রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, পুরীর নিয়ম মেনেই প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর জগন্নাথের স্নান এবং বস্ত্র পরিধানের প্রক্রিয়া সারা হয়। জগন্নাথের উদ্দেশে নিবেদন করা হয় ৫৬ রকমের ভোগ।
দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দিরে ঢোকার আগে দিলেন সম্প্রীতির বার্তা। তিনি জানালেন, বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে জগন্নাথদেবের প্রসাদ ও ছবি। তবে সেটা আগামীদিনে। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরকে এই দায়িত্ব দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি মনে করি, এই মন্দির আগামী হাজার হাজার বছর ধরে তীর্থস্থান এবং পর্যটনস্থল হিসাবে উন্মাদনার প্লাবন তৈরি করবে। এই মন্দির সকলের জন্য। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, সবারে করি আহ্বান। সমস্ত ধর্ম বর্ণের মানুষ এসেছেন এখানে। প্রত্যেকেই আমাদের অতিথি। ধর্ম কখনও মুখে প্রচার করে হয় না। ধর্মে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার জিনিস। মন্দির চত্বরকে কেন্দ্র করে ৫০০ গাছ লাগানো হয়েছে। আগামীদিন সবার বাড়িতে ছবি ও প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports