সিউড়ি পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ এনেছেন দলের দুই কাউন্সিলর। এই ঘটনায় শাসকদলের অন্দরেই দ্বন্দ্বের ছবি সামনে এল। অভিযোগ, একাধিক পুর প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম ও স্বজনপোষণ করেছেন চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। পাল্টা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে, অভিযোগ করেছেন, এর পিছনে রয়েছে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মহলের ‘ষড়যন্ত্র’।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়া মেডিক্যালে হাউসস্টাফ নিয়োগে দুর্নীতি! স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ
সূত্রের খবর, সম্প্রতি একাধিক কাউন্সিলরের স্বাক্ষর সহ একটি অভিযোগপত্র জমা পড়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। অভিযোগ, উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পুরবোর্ডের নানা প্রকল্পে নানাবিধ গাফিলতি, দুর্নীতি এবং নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার সিউড়িতে আসেন দুইজন সরকারি তদন্তকারী আধিকারিক। তবে তদন্তের দিনেই ঘটল নাটকীয় মোড়। অভিযোগপত্রে সই থাকা কয়েকজন কাউন্সিলর তদন্ত কমিটির সামনে এসে জানান, তাঁরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগে সই করেননি। বরং তাঁরা উজ্জ্বলবাবুর পাশে থাকার বার্তা দেন। এই পরিস্থিতিতে গরহাজির ছিলেন দু’জন কাউন্সিলর অশোক চট্টোরাজ ও মণিদীপা মুখোপাধ্যায়। তাঁরা স্থানীয় বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।সাংবাদিক বৈঠকে চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ক্ষোভ উগরে দেন। নাম না করে তিনি অভিযোগ করেন, দলেরই কিছু সদস্য তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রান্ত করছেন। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর অন্য কাউন্সিলরদের সই জাল করে এই চিঠি তৈরি করেছে বলে তাঁর অভিযোগ। সই জালের অভিযোগ সমর্থন করেছেন কাউন্সিলর লাল্টু সাহাও। তাঁর কথায়, চিঠিতে তাঁর স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, এই চক্রান্তকারীদের বিষয়ে তিনি দলের কোর কমিটিকে জানাবেন। প্রয়োজনে তদন্তও দাবি করবেন। তাঁর কাছে যাবতীয় প্রমাণ রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই চক্রান্তের পিছনে রয়েছে সিউড়িরই কিছু রাজনৈতিক মুখ, যারা শহরের উন্নয়ন থামিয়ে দিতে চায়।
অন্যদিকে নাম না করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীও। তিনি বলেন, ব্যর্থতা ঢাকতেই এরকম বলা হচ্ছে। অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর অশোক ও মণিদীপাও। তাঁরা দাবি করেন, সব ভিত্তিহীন অভিযোগ। চেয়ারম্যান নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তাঁদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছেন।