বঙ্গ–বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। আর তাঁকে বাদ দিয়ে সংগঠন শক্তিশালী করাও যাবে না। সুকান্ত মজুমদার যদি দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির অভিজ্ঞতা কাজে না লাগান তাহলে তাঁরই ক্ষতি হবে এবং পার্টির লোকসান হবে। কারণ চিরকাল একই পদে কেউ থাকবে না। তাই সবাইকে বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করতে হবে। গত বৃহস্পতিবার ব্যান্ডেলে রাজ্য নেতাদের নিয়ে বৈঠকে দিলীপ ঘোষকে এই দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ বলে সূত্রের খবর।
কেন এমন বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতা? দিলীপ ঘোষ সভাপতি থাকাকালীন রাজ্য বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা তৈরি হয়। আর সেই পদ থেকে সরে যেতেই বিজেপি একের পর এক নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে। এখন রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গায় আছে বিজেপি। সেটাও সম্ভব হয়েছে দিলীপ ঘোষের জন্যই বলে মনে করেন বিএল সন্তোষ। তাই ঘুরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এই নেতা। সুতরাং ফের রাজ্য পার্টিতে সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একাধিক উপনির্বাচন–পুরসভা নির্বাচনে সুকান্ত ব্যর্থ। এই ১৫ মাসে বাংলায় বিজেপি ক্রমশই দূর্বল হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হলে রাজ্য সভাপতি বদল হতে পারে। ব্যান্ডেলের বৈঠকে এভাবেই সন্তোষ নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপির রাজ্য নেতা বলেন, ‘সুকান্তর অভিজ্ঞতা কম, এটা ঠিক। তবে এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে তাতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সুকান্তকেই সভাপতি রেখে ভোটে যাবে বিজেপি। কারণ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ সুকান্তর উপরই আস্থা রেখেছিলেন মোদী–শাহরা। সেখানে মাঝপথে বালুরঘাটের সাংসদ অপসারিত হলে, তা শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যর্থতা হিসেবেই মান্যতা পাবে। বরং সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী চাকরি খোয়াতে পারেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংগঠনিক বদল নিয়ে আলোচনা হবে।’