বিয়েবাড়ির প্রীতিভোজ খেয়ে বাড়ি ফেরার পর থেকেই একই অবস্থা সকলের। প্রথমে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। তারপর বমি। কারও পেট খারাপের লক্ষণও দেখা দিয়েছে। মাঝরাত থেকে বুকে কষ্ট শুরু হয়। তারপর বমি। শনিবার ভোরেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় একের পর এক গ্রামবাসীকে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই ঘটনা ঘটেছে।
গ্রামে পৌঁছেছে দু’টি মেডিক্যাল টিম।
বউভাতের অনুষ্ঠানে পাতপেড়ে খেয়েছিলেন আমন্ত্রিতরা। কিন্তু সেই খাবার খেয়েই পেটের ভিতরে অস্বস্তি শুরু হয়। এমনকী সময় যত গড়াতে থাকে ততই হয়ে পড়েন মানুষজন। এই খাবার খেয়ে এখন অসুস্থ শতাধিক। তাঁদের মধ্যে ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তবে তার মধ্যে এক অন্তঃসত্ত্বার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। অসুস্থদের মধ্যে চারজন শিশু আছে। মাঝরাত থেকে শুরু হয় বমি। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের রঘুনাথপুর গ্রামে পৌঁছেছে দু’টি মেডিক্যাল টিম।
খাদ্যে কী বিষক্রিয়া হল? ঘাটালের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়ের ছেলে সৌরভের বিয়ে ছিল। আর শুক্রবার ছিল বউভাত। সেখানে খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছিল। গ্রামের মানুষ ছাড়াও কনের বাড়ি থেকে আত্মীয়রাও এসেছিলেন। কিন্তু রাত থেকেই অসুস্থ হতে থাকেন অনেকে। আজ, শনিবার সকাল থেকে আরও বাড়ছে অসুস্থের সংখ্যা। হাসপাতালে সূত্রে খবর, খাবারে বিষক্রিয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। অসুস্থের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।