স্বাধীনতা দিবসের সকালেই শোকের ছায়া নেমে এলো পূর্ব বর্ধমান জেলায়। সকাল প্রায় সাতটা নাগাদ, নবাবহাটের ফাগুপুর এলাকায় জাতীয় সড়ক ১৯-এ ঘটে গেল ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা। দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে যাত্রীবাহী একটি বাস। মুহূর্তেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় বাসের সামনের অংশ। প্রাথমিক হিসেবে জানা গিয়েছে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন যাত্রী। আহতের সংখ্যা ৩৫-এরও বেশি, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুফাঁদ! গভীর নিন্দ্রায় ডাক্তার, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু রোগীর
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি তারকেশ্বর থেকে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল। তাতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। অধিকাংশ যাত্রীই বিহারের বাসিন্দা, যারা পুজো দিতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লরিটি দীর্ঘ সময় ধরে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। তবে পাশে সার্ভিস লেন ফাঁকা ছিল। তখনই বাসটি সজোরে ধাক্কা মারে লরিতে। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসী ছুটে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে গোলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। একইভাবে অ্যাম্বুলেন্স আসতেও বিলম্ব হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। তাঁরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সার্ভিস লেন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও লরিটি জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে ছিল। অভিযোগ, এর আগেও এনিয়ে বহুবার বলা সত্ত্বে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। এই ঘটনার পর, জাতীয় সড়কে ভারী যানবাহনের দাঁড়িয়ে থাকা সংক্রান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্ন আবারও সামনে উঠে এসেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।