সৈকত শহর দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের এবার কঠোর বার্তা দিল জেলা প্রশাসন। পর্যটন কর বা ট্যুরিস্ট সিভিক অ্যামেনিটিজ চার্জ (টিসিএসি) বকেয়া রাখা যাবে না। আগামী সাত দিনের মধ্যে সমস্ত হোটেলকে বাকি কর মিটিয়ে দিতে হবে, না হলে প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী।
আরও পড়ুন: কর বাকি থাকায় দিঘায় রাতারাতি সিল করা হল একাধিক হোটেল, পথে নামতে হল পর্যটকদের
শনিবার বিকেলে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয়ে (জাহাজবাড়ি) হোটেল মালিকদের নিয়ে বৈঠকে এই কড়া নির্দেশ দেন জেলাশাসক। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পর্যটন করের টাকা আর ফাঁকি চলবে না। বকেয়া থাকলে উন্নয়ন সংস্থা প্রশাসনিক ও আইনি পথে ব্যবস্থা নেবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে ওল্ড ও নিউ দিঘা মিলিয়ে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি হোটেল ও লজ রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু হোটেলের টিসিএসি এখনও বাকি রয়েছে। বারবার নোটিস পাঠানো সত্ত্বেও কর মেটানো হয়নি। কয়েকদিন আগে ট্যাক্স বাকি থাকার কারণে উন্নয়ন সংস্থা রাতারাতি ওল্ড দিঘার তিনটি হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পর্যটকদের মাঝরাতে রাস্তায় নামতে হয়। সেই ঘটনার পর প্রবল শোরগোল ওঠে। পরে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে তালা খোলা হয়। এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে।
জেলাশাসক সাফ জানিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া এমন কাজ করা উচিত ছিল না। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন জেলাশাসক স্পষ্ট করে দেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত হোটেল থেকে পর্যটন কর আদায়ের দায়িত্ব নিতে হবে হোটেল মালিকদের সংগঠনকে। বৈঠকে উপস্থিত দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে নিজেরাই সমস্ত হোটেলের বকেয়া কর সংগ্রহ করে উন্নয়ন সংস্থার কাছে জমা দেওয়া হবে। হোটেল ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে রাস্তা মেরামত, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করা এবং শহরের অন্যান্য পরিকাঠামো সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, পর্যটন কর তোলা হলেও বহু ক্ষেত্রেই মৌলিক পরিষেবা উন্নত হচ্ছে না। এ নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজীর কড়া বার্তা, এক সপ্তাহের মধ্যে টিসিএসি জমা না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, কর সংগ্রহে আর কোনও গাফিলতি চলবে না।