রান্নার জন্য কিছু বাস্তু টিপস অনুসরণ করলে তা আপনার রান্নাঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসতে পারে। এতে বাড়িতে রান্না করা খাবার সবসময় থাকবে শুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, রান্নাঘর হল বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে একটি, কারণ এটি স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
রান্নার গুরুত্বপূর্ণ বাস্তু টিপস
১. সঠিক দিক নির্বাচন
দক্ষিণ-পূর্ব দিক: বাস্তু মতে, রান্নার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত দিক হলো দক্ষিণ-পূর্ব। এই দিকটি অগ্নি দেবতার (অগ্নি) সাথে সম্পর্কিত। তাই এই দিকে গ্যাস বা রান্নার চুলা রাখা সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়।
উত্তর-পশ্চিম দিক: যদি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রান্না করা সম্ভব না হয়, তাহলে উত্তর-পশ্চিম দিকটিও একটি বিকল্প হতে পারে।
আরও পড়ুন - চন্দ্রগ্রহণে কখন শেষ হচ্ছে সূতককাল? ভুলেও করা যাবে না এসব কাজ
২. হাঁড়ির অবস্থান
রান্নার সময় মুখ: রান্না করার সময় গৃহিণীর মুখ যেন পূর্ব দিকে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এটি স্বাস্থ্য এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
হাঁড়ির উপাদানের গুরুত্ব: হাঁড়ি বা পাত্র সাধারণত স্টেইনলেস স্টিল বা পিতলের হলে তা রান্নাঘরের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। আধুনিক রান্নাঘরে সিরামিক বা নন-স্টিক পাত্রও ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন - রবিবারের চন্দ্রগ্রহণে কৃপা সূূর্যদেবের! টাকার বানে ভাসবে ৪ রাশি, কাটবে ফাঁড়া
৩. রান্নাঘরের সাজসজ্জা এবং পরিচ্ছন্নতা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: রান্নাঘর সবসময় পরিষ্কার রাখা উচিত। নোংরা বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র রান্নাঘরে জমতে দেওয়া উচিত নয়।
আলো-বাতাস: রান্নাঘরে পর্যাপ্ত আলো এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। বদ্ধ রান্নাঘর নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করতে পারে।
সিঙ্ক ও ওভেন: রান্নাঘরের সিঙ্ক (জল) এবং রান্নার ওভেন (আগুন) যেন একে অপরের কাছাকাছি না থাকে। এই দুটি উপাদান ভিন্ন, তাই এদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।
রঙ: রান্নাঘরের দেয়ালের জন্য হালকা বা উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করা শুভ। ক্রিম, হালকা কমলা, বা হালকা হলুদ রঙ ব্যবহার করতে পারেন। কালো বা গাঢ় রঙ এড়িয়ে চলা উচিত।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।