অনেক সময় বাড়ির দেওয়ালে কিছু লতানে গাছ বেয়ে উঠতে দেখা যায়। আবার কিছু কিছু গাছ দেওয়াল ফুঁড়েই জন্ম নেয়। খুব পুরনো বাড়ির দেওয়াল ও মেঝেতে প্রায়ই এমন গাছ দেখা যায়। এই চিহ্ন বাড়ির প্রতি অযত্নের সংকেতও বটে। তাই বাস্তুমতে এসব গাছ অশুভ। কী কী ক্ষতির সংকেত এই ধরনের গাছ? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন - চন্দ্রগ্রহণে ৪ রাশির জীবনে প্রেমের বান! বাড়বে মানি ব্যাগের ওজন, চমকাবে শত্রুও
বাস্তুমতে কীসের অশুভ সংকেত?
- বাড়ির সুরক্ষায় বিঘ্ন: লতানো গাছের শিকড় দেওয়ালের ভেতরে প্রবেশ করে তাকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে বাড়ির কাঠামোর ক্ষতি হতে পারে, যা বাস্তুমতে অশুভ বলে বিবেচিত। এটি বাড়ির স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নষ্ট করে।
- নেতিবাচক শক্তির উৎস: বাস্তুমতে, লতানো গাছ বাড়ির দেওয়াল বেয়ে উঠলে ঘরের মধ্যে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি বাড়ির বাসিন্দাদের মানসিক শান্তি ও সুখ বিঘ্নিত করে।
- সূর্যের আলোর বাধা: গাছ বেশি ঘন হলে সূর্যের আলো ও বাতাস ঘরে প্রবেশে বাধা দেয়। বাস্তুশাস্ত্রে সূর্যের আলোকে ইতিবাচক শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে ধরা হয়। পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের অভাবে রোগজীবাণু বৃদ্ধি পায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
- কীট-পতঙ্গের আশ্রয়: ঘন লতা-পাতা বিভিন্ন ধরনের কীট-পতঙ্গ, এমনকি সাপ বা পোকামাকড়ের আশ্রয়স্থল হতে পারে। এটি বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আরও পড়ুন - ঘরে চটি পরে ঘোরেন? বাস্তুমতে অসন্তুষ্ট হন এই দেবতা, অর্থকষ্টে ভুগতে হয় আজীবন
কোন কোন গাছ ডেকে আনে অমঙ্গল?
বাড়ির মধ্যে বা আশেপাশে এমন কিছু গাছ আছে, যা বাস্তুশাস্ত্রে অশুভ বলে ধরা হয়। এই গাছগুলো হল—
- তেঁতুল গাছ: এই গাছকে নেতিবাচক শক্তির আশ্রয়স্থল মনে করা হয়। এটি বাড়ির কাছে থাকলে আর্থিক ক্ষতি ও স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- বাবলা গাছ: বাবলা গাছে কাঁটা থাকায় এটি ঝগড়া ও কলহের প্রতীক। এই গাছ বাড়ির আশেপাশে লাগানো অশুভ।
- বনসাই গাছ: বনসাই গাছকে প্রবৃদ্ধি ও বিকাশের পথে বাধা হিসেবে দেখা হয়। এটি বাড়ির ভেতর বা আশেপাশে রাখলে পরিবারের সদস্যদের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
- তুলো গাছ: এই গাছকে বাড়িতে লাগানো হলে আর্থিক ক্ষতি ও দুঃখ-কষ্ট বয়ে আনে বলে বিশ্বাস করা হয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।